ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৯ এএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বমানবতার অনন্য নজির বাংলাদেশ

বিশ্বমানবতার অনন্য নজির বাংলাদেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। অনেক সাধারণ মানুষ বর্বরতার শিকার হয়ে করুণভাবে মারা যাচ্ছে। বেশিরভাগই ইউক্রেনের। কিন্তু সাদা চোখে এটাকে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। আরও ভালোভাবে বললে হবে, যুদ্ধ হচ্ছে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার। এই যুদ্ধ অনেকটা বৈশ্বিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেন বছরের পর বছর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টিকে থাকতে পারত না, যদি তাদের সঙ্গে পশ্চিমারা না থাকত। তার পরও রাশিয়ার আগ্রাসনকে ভালোভাবে দেখছি, বিষয়টি এমন নয়। যদিও ইউক্রেন রাশিয়ার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। তারা ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছিল। ন্যাটো একটি বৈশ্বিক বাহিনী হলেও তা মূলত আমেরিকারই বাহিনী। সারা পৃথিবীতে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের জন্যই যুদ্ধ করে। যদি তাই হয়, তাহলে রাশিয়ার সীমান্তে রাশিয়া কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনা-নজরদারি, টহল মেনে নেবে না। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি। রাশিয়ানরা তাদের সীমান্তে আমেরিকান সোলজার রেখে শান্তিতে ঘুমাতেও যেতে পারবে না। রাশিয়ার এই কথা সত্যি হলে যুদ্ধ ছাড়া তাদের কোনো উপায়ও ছিল না। কিন্তু আমরা কখনো যুদ্ধ চাই না। এমনকি যুদ্ধবাজ দেশগুলোর সাধারণ মানুষও যুদ্ধ চায় না। তারাও দিন শেষে শান্তি ও সমৃদ্ধি চায়।

পৃথিবীতে যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেই বেশি সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিল। যারা কখনো যুদ্ধ চায়নি। এমনকি নিজের দেশ যুদ্ধ করলেও তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কমই সংশ্লিষ্টতা ছিল। তবুও তাদের মরতে হয়েছে। পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে যখন লর্ড ক্লাইভ বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদের দিকে এগিয়ে আসছিল, তখন রাস্তার দুপাশে যে পরিমাণ উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে ছিল, তারা যদি তাদের পায়ের নিচে থেকে একটি করে মাটির টুকরো (ঢেলা) ছুড়ে মারত, তাহলে লর্ড ক্লাইভের ছোট্ট সৈন্যবহর তার স্তূপের নিচে চাপা পড়ত। তারা তা করেনি। তারা হয়তো বিশ্বাস করত, ‘মশা দেশি হোক আর বিদেশি হোক কামড়াবেই।’ শাসক সম্পর্কে মধ্যযুগে বেশিরভাগ মানুষ ওই মতই পোষণ করত।

ইংরেজদের সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধ হয়েছিল ‘পলাশী’ নামক একটি নির্দিষ্ট স্থানে। ইংরেজ বাহিনী তথা ওয়েলিংটন ডিউকের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ বাহিনী বা নেপোলিয়নের যুদ্ধ হয়েছিল ‘ওয়াটার লু’ নামক বেলজিয়ামের একটি নির্দিষ্ট স্থানে। ভারত উপমহাদেশে আমরা ‘পানিপথ’ নামক জায়গায় তিনটি যুদ্ধ দেখেছি। সে সময়গুলোতে রাজা রাজাই সাধারণত যুদ্ধ হতো। সাধারণ মানুষ কোনো পরিবর্তন হলে জানতে পারত যে, তাদের শাসক বদল হয়েছে। এর বাইরে ব্যতিক্রমী ঘটনা যে নেই, তা নয়। আমরা মধ্যযুগের চেঙ্গিস খানের মতো আরও কিছু যুদ্ধবাজকে দেখি, আদি যুগের ছোট ছোট নগররাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বা পুরাণের বর্ণনামতে আগামেমননের বাহিনীর কাছে ট্রয় নগরী বার্ন হওয়ার নজির যে দেখি না—এমন নয়। তবে একটি কথা পরিষ্কার, যুদ্ধ যারাই করুক সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইরাক হোক আর আফগানিস্তান, যুদ্ধ যে দেশে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষই।

যুদ্ধ মূলত মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনে। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা জানি। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে ভারতের পদক্ষেপের কথাও জানি। আমরা মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীকে কী করতে দেখলাম। কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর জন্য তারা রাখাইন রাজ্যে নিজের দেশের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ওপরে কী পরিমাণ নির্যাতন চালাল। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট তাদের নির্মমতা ভয়ংকরভাবে শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। রোহিঙ্গারা বাধ্য হয়েই স্থানান্তরিত হলো। বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় হলো। শেখ হাসিনা যদি না চাইতেন তাহলে কখনোই এটি হতো না। যদি শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিত তাহলে কী হতো? পৃথিবীর নৃশংসতম মানবিক বিপর্যয় সেখানে নেমে আসত। কারণ আমরা মিয়ানমারের জান্তাদের ভালোভাবেই জানি।

২০১৭ সালেই ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই জান্তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এমনকি ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থানরত রোহিঙ্গারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে; ফলে তারাও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মতো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াতে বরং বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের ওপর আর্থসামাজিক প্রভাব, দ্রব্যমূল্য এবং মজুরির ওপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে রোহিঙ্গারা যে ত্রাণসামগ্রী পেয়েছিল, তা স্থানীয়দের কাছ অনেক কম দামে বিক্রি করে দিয়েছিল। স্থানীয় দোকানদারদের দোকান আর চলছিল না। স্থানীয়রা কোনো কাজ পাচ্ছিল না। কারণ রোহিঙ্গারা অনেক কম মজুরিতে কাজ করছিল, যা অবৈধ। এমনকি তারা চুরি-ছিনতাই এমনকি হত্যার সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে। তার পরও বেশিরভাগ রোহিঙ্গার কথা ভেবে বাংলাদেশ তাদের থাকার জায়গা থেকে শুরু করে বাসস্থান, খাবার, পোশাক ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এতকিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। তার মাতৃত্বে আশ্রয় পেয়েছে রোহিঙ্গারা। বিশ্ব বাহবা দিলেও রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব কেউই নিচ্ছে না।

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে নিজেদের ইকোনমিকে টিকিয়ে রাখাই যখন বড় চ্যালেঞ্জ তখনো আমরা রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে নিজেদের অবস্থান বদল করিনি; বরং আমরা যখন তাদের একটি অংশকে নোয়াখালীতে স্থানান্তরিত করলাম, তখন বিশ্বের অনেক দেশ, অনেক সংস্থা এটিকে ভালোভাবে নিল না। আমেরিকা পর্যন্ত বিরোধিতা করল না; কিন্তু সেখানে তাদের থাকার জন্য আমাদের শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এবং ব্যয় হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের যদি রোহিঙ্গাদের নিয়ে এতই চিন্তা থাকত, তাহলে তারা তাদের বিশাল দেশের একটি অঞ্চলে তাদের আশ্রয় দিত। তাদের তো অর্থের অভাব নেই। খাদ্যের অভাব নেই। তারা তা করে না কেন? এমনকি রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নিতে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না কেন?

গাজার ঘটনাকে যুদ্ধ বললে ভুল হবে। যুদ্ধ তো সমানে সমানে হয়। তা না হলেও অন্তত প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অন্তত বিরুদ্ধ পক্ষের থাকে। এখানে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমরা দেখছি ইসরায়েল বাহিনী নির্বিচারে গাজায় আক্রমণ করে যাচ্ছে। তারা সেখানে কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। যাকে পাচ্ছে তাকেই হত্যা করছে। হাসপাতাল থেকে উপাসনালয় কোনোকিছুই বাদ দিচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষের আর্তচিৎকার করছে। শিশুদের মৃত্যু আমাদের আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে। গাজায় এখন চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সরকার এই মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় জুমার নামাজের পর সারা দেশে একসঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। সরকারের নির্দেশে যা এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলিম দেশও করতে পারেনি।

যুদ্ধ হোক আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তুরস্কের ভূমিকম্পে মানবিক সহায়তা আবার শ্রীলঙ্কায় অর্থ ঋণ। এসব পরিকল্পনা করে সবসময় করা যায় না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শেখ হাসিনা সেই সিদ্ধান্তগুলো নিতে পেরেছেন। বিশ্বের বহু দেশ ও মানুষের কাছে তা পছন্দের হয়েছে। কিন্তু কেন যেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো কিছুই সহজভাবে নিতে পারে না। তারা আমাদের ওপর স্যাংশন চাপিয়ে দিচ্ছে। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনের তপশিল হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন। অথচ প্রায় এক বছর আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পেছনে লেগে আছে। এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের গভীর সম্পর্কের বিষয়টি কারও অজানা নয়।

একদিকে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র। তারা এখনো বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার অবস্থা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মতো করবে। এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না। বিএনপি তপশিল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল দিয়েছে। তিন সপ্তাহে ১১ দিন অবরোধ (তপশিল ঘোষণার দিন ও পরদিনসহ) ও এক দিন হরতালের কর্মসূচি তারা দিয়েছিল। এ সময়েই তারা অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর তারা ট্রেনে পর্যন্ত আগুন দিয়েছে। আর এই দলের পক্ষেই সাফাই গাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নভেম্বরের ১৬ তারিখে ছুটিতে গেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি শ্রীলঙ্কায় গেছেন। কেন গেছেন আমরা জানি না। তপশিল ঘোষণার পরদিন তার এভাবে চলে যাওয়াটা এদেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না।

নির্বাচন সঠিক সময়ে এবং সাংবিধানিকভাবেই হতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব দলের নির্বাচনে আসাটা জরুরি। যদি তা না হয়, তবে বিরুদ্ধ মত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে অনেক মানুষ অপেক্ষায় আছে যে, তারা বিএনপিকে ভোট দেবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তবে সেই মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ভোট দিতে পারবে না। ওই মানুষগুলোর কথা ভেবে হলেও বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত। জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেওয়া ভাষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন, তার মধ্যে তিনটি বিষয় ছিল এমন—১. রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। ২. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রগুলোর পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। ৩. নির্বাচনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী, সৎ, দক্ষ ও অনুগত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নিজ নিজ অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা কার্যত আপনাদেরই করতে হবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এটি একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ। একটি অগাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বমানবতার জন্যও প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থায় যোগ্য মানুষগুলো ক্ষমতায় এলে যেমন সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তেমনি মানবতার জন্য অনন্য সব নজিরও রাখা যায়। জনগণ সাধারণত ভুল করে না। পৃথিবীর মানচিত্রে এক অনন্য বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। সেই অনন্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা কেউ করে দেবে না। নিজেদেরই করতে হবে। নিজেদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই দেশটা কারও একার নয়। এই দেশটা মানুষের। বাংলাদেশের মানুষের। বাংলাদেশ পথ হারাবে না, যদি আমরা মানুষ হিসেবে অনন্য হই। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে এগিয়ে যেতে আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাতেই আস্থা পাই।

লেখক: অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

৭ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না এসএসসি পরীক্ষার্থী রিয়ামনির

আট মামলার আসামিকে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

রাসিকের ৮০৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

চাল না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : আব্দুল হালিম

গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

১০

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

১১

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

১২

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

১৩

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

১৪

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

১৫

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

১৬

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১৭

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১৮

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১৯

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

২০
X