মুফতি আরিফ খান সাদ
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০২ এএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রচণ্ড তাবপ্রবাহে মুমিনের ভাবনা ও কর্ম

প্রচণ্ড তাবপ্রবাহে মুমিনের ভাবনা ও কর্ম

দেশজুড়ে বিরাজ করছে দুঃসহ তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মেও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের মানুষ, মাটি ও ফসল। অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছে প্রকৃতি। বিশেষ করে রাজধানীসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো যেন আগুনের জ্বলন্ত কুণ্ড। ওষ্ঠাগত মানুষের জীবন। হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ। আবার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎও থাকে না। পৃথিবীর বুকেই যেন বইছে জাহান্নামের তপ্ত লু-হাওয়া। হাদিসের ভাষ্য থেকেও জানা যায় গ্রীষ্মের এ তপ্ত আভা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা ও শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ (বোখারি : ৩২৬০)। নিঃসন্দেহে এ পরিস্থিতি পৃথিবীর মানুষের জন্য অনেক কঠিন পরীক্ষা।

আমাদের প্রথমে স্মরণ রাখতে হবে, পৃথিবীতে গরম বা ঠান্ডা সবকিছুই আসে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হুকুমে। আল্লাহতায়ালা এই পৃথিবী ও মহাবিশ্বকে একটি প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত করেন। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এ ঘোরার সময় পৃথিবী সূর্যের দিকে সামান্য হেলে থাকে। পৃথিবী আবার তার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনো সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনো উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সেই অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়। আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এ সময় থাকে গ্রীষ্মকাল। একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল। শীত ও গ্রীষ্মের ব্যাপারে হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে।

আরবের মরু এলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরুঝড়ের কারণে সেখানে ভীষণ গরম দেখা দিত। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) জোহরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন। এজন্য গরম বেশি পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নত। আবু জার (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবী (সা.) বলেন, ‘গরম কমতে দাও।’ কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবী (সা.) পুনরায় বলেন, ‘গরম কমতে দাও।’ এভাবে তিনি (সালাত আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। অতঃপর নবী (সা.) বলেন, ‘গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আসে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর সালাত আদায় করো।’ (বোখারি, হাদিস : ৫৩৯)। সুতরাং গরমের তীব্রতা জাহান্নামের তীব্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কাজেই তীব্র গরমে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া উচিত।

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। ইসলামী পরিভাষায় এ দোয়ার নাম ‘ ইসতিসকা’ বা সিক্তকরণের দোয়া এবং নামাজের নাম ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা ‘বৃষ্টি কামনায় নামাজ’। বস্তুত যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা নানা প্রতিকূলতায় পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তিগফার করতে হয়। কেউ অন্যের হক বা অধিকার নষ্ট করলে তা ফেরত দিয়ে দোয়া করতে হয়। তবেই আল্লাহতায়ালা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন। এ নামাজ মাঠে গিয়ে আদায় করার আগে একাধারে তিন দিন রোজা রাখতে হয়। তারপর এলাকার ইমাম ও মুসল্লিরা চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন। মাঠে যাওয়ার আগে এবং পরে সবাই তওবা করবেন। তওবা করলে বৃষ্টি বর্ষণের সম্ভাবনা থাকে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘অতঃপর বললাম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য অজস্র বৃষ্টিধারা প্রবাহিত করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি দ্বারা সাহায্য করবেন।’ (সুরা নুহ : ১০-১২)

সূর্যের প্রচণ্ড তাপবর্ষণে আমাদের শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরে, এর ওপর আবার পথঘাটের ধুলোবালি মিশে উৎকট দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। শরীর হয়ে পড়ে নিস্তরঙ্গ ও দুর্বল। তা ছাড়া শরীর ঘেমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে আশপাশের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। আল্লাহর রাসুল (সা.) তাই গরমের তীব্রতায় অতিরিক্ত ঘাম, শরীরের দুর্গন্ধ এবং অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে বাঁচতে গোসলের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, লোকজন তাদের বাড়ি ও উঁচু এলাকা হতেও জুমার নামাজের জন্য পালাক্রমে আসতেন। আর ধুলোবালির মধ্য দিয়ে আগমনের কারণে তারা ধুলো-মলিন ও ঘর্মাক্ত হয়ে যেতেন। তাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরত। একদিন তাদের একজন আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে আসলেন। তখন নবী (সা.) আমার কাছে ছিলেন। তিনি তাকে বললেন, ‘যদি তোমরা এ দিনটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ও গোসল করতে!’ (বোখারি : ৯০২)। এর মাধ্যমে তীব্র গরমের সময় গোসলের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। সূর্যরশ্মির তীক্ষ্ণতা ও প্রচণ্ডতায় অতিষ্ঠ হলে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিকার হলো মাথায় পানি দেওয়া। এর মাধ্যমে পুরো শরীরেই শীতলতা অনুভব করা যায়। আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এ কাজটি করতেন। আর বলাই বাহুল্য যে, নবীজি (সা.)-এর কৃতকর্ম তাকে অনুসরণের নিয়তে করলে সাওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে, জনৈক সাহাবি বলেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে গ্রীষ্মের দিনে প্রচণ্ড গরম আর পিপাসায় রোজা অবস্থায় মাথায় পানি দিতে দেখেছেন। (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৬৯৯)

গরমে অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। একজন মুমিন সে আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়ার বেশ কিছু আমল রয়েছে। এর মধ্যে একটি আমল পিপাসার্তকে পানি পান করানো। এমনিতেই পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ, আর যদি প্রচণ্ড গরমে কাউকে ঠান্ডা পানি পান করানো হয়, তাহলে তো কাজটি আরও উত্তম হবে। এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ (নাসাই : ৫৪৫৬)। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’ (তাফসিরে কুরতুবি)। হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সাদকা।’ (আবু দাউদ : ৭৪৩৫)। গরমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরও উপায় হচ্ছে, গরিব-দুঃখীর মাঝে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। ঘামে ভেজা শরীরে জনসমাগমে গমন না করা। গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা। গরমের প্রচণ্ডতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে চাইলে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হলো বৃক্ষরোপণ। পরিবেশ রক্ষাকারী গাছ কাটা হচ্ছে যত্রতত্র এবং এ কারণে পৃথিবীব্যাপী দেখা দিচ্ছে অসহ্য গরম। অথচ আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের গাছ রোপণের প্রতি নির্দেশ ও উৎসাহ প্রদান করেছেন নানাভাবে। এ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশসহ অন্যান্য অনেক নির্দেশ অমান্য করার অপরিহার্য পরিণতিতেই আমরা আজ নিপতিত। রাসুল (সা.) গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে গিয়ে বলেছেন, ‘যদি কেয়ামত হয়েই যায় আর এমতাবস্থায় তোমাদের কারও হাতে একটি চারা থাকে তবে সে যদি দণ্ডায়মান হওয়ার আগেই চারাটি রোপণ করতে পারে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে।’ (সহিহুল জামে : ১৪২৪)।

দুনিয়ার জীবনে গরমের তীব্রতায় একজন মুমিনের অন্তরে উদিত হয় জাহান্নামের ভয়ংকর আগুনের আজাবের কথা। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, গরমের দিন আল্লাহ তার শ্রবণ ও দৃষ্টিকে আসমানবাসী এবং পৃথিবীবাসীর দিকে নিবিষ্ট করেন। যখন বান্দা বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! আজকে কী প্রচণ্ড গরম! আল্লাহুম্মা আজিররি মিন হাররি জাহান্নাম, হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের তীব্র-তাপ হতে মুক্তি দাও।’ আল্লাহতায়ালা তখন জাহান্নামকে বলেন, ‘আমার এক বান্দা আমার কাছে তোমার থেকে মুক্তি চেয়েছে। আর আমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি তাকে মুক্তি দিলাম।’ (বাইহাকি)। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে গেয়ে ওঠে—‘আল্লাহ মেঘ দেন, পানি দেন, ছায়া দেন ও আল্লাহ মেঘ দেন’। গরমের তীব্রতাকে বৃষ্টির বর্ষণই ভালোভাবে কাবু করতে পারে। তীব্র তাপপ্রবাহে তাই সবারই প্রাণের চাওয়া একপশলা বৃষ্টি। আল্লাহর রাসুল (সা.) গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ উম্মতদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন বৃষ্টি প্রার্থনার দোয়া—‘আল্লাহুম্মা আগিসনা’ (তিনবার) অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন। (বোখারি : ১০১৪)। এর পাশাপাশি ইস্তিগফার অব্যাহত রাখতে হবে। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। তোমরা তা করলে তিনি তোমাদের ওপর অজস্রধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সুরা নুহ : ১০-১১)।

সুতরাং প্রচণ্ড গরমের সময় বান্দা যেন জাহান্নামের গরমের কথা স্মরণ করে, এ দুনিয়ার প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করে। আর যেন উপলব্ধি করে যে, যা কিছু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এবং তার ক্রোধ ও শাস্তি থেকে মুক্তি দেয় সেসব বিষয়ে আত্মনিয়োগ করা আবশ্যক। দুনিয়ার জীবনে গরমের কষ্ট ও তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য যদি আমরা সম্ভবপর সব উপায় অবলম্বন প্রস্তুত করে থাকি, তাহলে আখিরাতের আজাব ও ভয়াবহতা থেকে বাঁচার জন্যও আমলদার, প্রত্যয়ী ও সাধনাকারী হওয়া জরুরি।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুন্সীগঞ্জে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করায় ডিও লেটার না দেওয়ার হুমকি এমপির স্ত্রীর

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে নদভী

‘এখনো জানা যায়নি সুন্দরবনে আগুনের কারণ’

সেতুতে বিশাল গর্ত, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নদী শাসনে নিম্নমানের জিও ব্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ

চশমা ছাড়াই কোরআন পড়েন ১৩৫ বছর বয়সী তাম্বিয়াতুন নেছা

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি

বাটারবন খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিশু

সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার নিন্দা

১০

নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

১১

পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৮০ টাকা

১২

কারাগার থেকে বেরিয়ে মামুনুল হকের জ্বালাময়ী বক্তব্য

১৩

নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে : প্রতিমন্ত্রী রিমি

১৪

আমলাদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় :  যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

১৫

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান

১৬

ঢাবি কুইজ সোসাইটির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

১৭

দেখতে রেললাইনের মতো মনে হলেও আসলে এটা মহাসড়ক!

১৮

সাতক্ষীরায় বিএনপির সমন্বিত মতবিনিময় সভা

১৯

বিশ্বকাপ জিতলেই বাবরদের জন্য কোটি টাকা

২০
*/ ?>
X