ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:০৭ এএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়াবহ বন্যায় প্রস্তুত ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টির কারণে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টির কারণে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত

ফেনীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ফুলগাজী, পরশুরাম ও সদর উপজেলায় ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ফুলগাজীতে ৯৯টি পরশুরামে ৩২টি, সদরে ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাইল হোসেনকে প্রধান করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি মনিটরিং টিম ও একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সরকারি দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিকস সামগ্রী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে ২ হাজার ৫৪৭ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮টি পরিবারের ১৩৩ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতেই ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১০টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। মুহুরী নদী পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৩৪ মিটার ও সিলোনীয়া নদী সুবার বাজার পয়েন্টে ১০ দশমিক ৭৮ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীপারের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) ফেনীতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৩০৬ মিলিমিটার। অতি বৃষ্টিপাত ১২০ ঘণ্টা স্থায়ী থাকবে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগাদ অতিভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ১২ জুলাই নাগাদ অতিবৃষ্টি কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০, ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩) খোলা হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে ওই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য সবাই অনুরোধ করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্পেনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

ডাকসু নির্বাচন / ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার দায়ে বাদ জুলিয়াস সিজার

ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

কাজী নজরুলের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছে : তারেক রহমান

‘রোহিতকে সরানোর জন্যই ব্রঙ্কো টেস্ট এনেছে বিসিসিআই’

অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা, প্রেমিক রাফির বিচার শুরু

১০

ভারতে প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা পাবে অনুদান

১১

রাজধানীতে একক ব্যবস্থায় বাস চলবে : প্রেস উইং

১২

ভিনিকে বিক্রি করে দিতে বললেন রিয়াল কিংবদন্তি

১৩

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

১৪

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

১৫

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

১৬

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

১৭

ডাকসু নির্বাচনে সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন

১৮

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

১৯

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

২০
X