প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে খুশি হওয়া সহজ নয়। চেলসির নতুন স্ট্রাইকার জোয়াও পেদ্রো জানেন সেটা। জানেন বলেই গোলের পর হাত তুলে ক্ষমা চাইলেন, হাসি চাপা রাখলেন, আর ম্যাচ শেষে বললেন, ‘ওরাই আমাকে বিশ্বকে চিনিয়েছে।’
মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মঙ্গলবার রাতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। দুই গোলই করেছেন সদ্য দলে যোগ দেওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো—যিনি নিজেই ফ্লুমিনেন্স একাডেমির ছাত্র!
মাত্র ছয় দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়া ২৩ বছর বয়সী পেদ্রো শুরুতেই জানান দেন নিজের আগমনী বার্তা। ১৮তম মিনিটে দুর্দান্ত ফিনিশে প্রথম গোল, দ্বিতীয়ার্ধে আবার এক নিখুঁত শটে দ্বিতীয়টি।
কিন্তু গোলের পর উল্লাসে ভাসলেন না। বরং হাত তুলে দুঃখ প্রকাশ করলেন, যেন বলছেন, ‘ক্ষমা করো, এটা আমার কাজ।’ ম্যাচ শেষে আবেগ ঝরল তার কণ্ঠে:
‘ফ্লুমিনেন্স সবকিছু দিয়েছে আমাকে। ওরা না থাকলে আমি আজ এখানে থাকতাম না। কিন্তু এটা ফুটবল—আমি পেশাদার, কাজটা করতে হয়েছে।’ শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে বদলি হিসেবে অভিষেক হয়েছিল পেদ্রোর। কয়েকটা অনুশীলনেই কোচ এনজো মারেস্কার আস্থা অর্জন করে নিলেন শুরুর একাদশে জায়গা। আর সেই আস্থার প্রতিদান—দুটি অনন্য গোল, একটি সরল বার্তা: ‘আমি তৈরি’।
ম্যাচশেষে বললেন, ‘আজ শুরু থেকে সুযোগ পেয়েছিলাম, সময়ও ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
চেলসি এখন অপেক্ষায় আছে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ীর। রোববার, নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই হবে সেই স্বপ্নের ফাইনাল।
২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ এবং কনফারেন্স লিগ জয় করে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান চেলসি চাইছে এই মৌসুমে আরও এক শিরোপা যোগ করতে। আর সেই মঞ্চে জোয়াও পেদ্রো হয়ে উঠেছেন নতুন নায়ক।
মন্তব্য করুন