টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও পরশুরামের বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়ছে। এসব এলাকায় আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষাকে ঘিরে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত কিংবা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। নোয়াখালী, পরশুরাম, ফেনী ও আশপাশের জেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি কোনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুপুরের পর থেকে যদি বৃষ্টি না বাড়ে, তাহলে জমে থাকা পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা সন্ধ্যা নাগাদ সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
প্রফেসর রুনা নাছরীন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরীক্ষার্থীদের যেন ভোগান্তি পোহাতে না হয়, সে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে কেন্দ্রে পৌঁছানো ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টিই আমারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিব।
মূলত, চলতি সপ্তাহজুড়ে কুমিল্লা অঞ্চলের কিছু এলাকায় নদনদীর পানি বৃদ্ধি ও শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে আগামীকালের পরীক্ষাকে ঘিরে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন