

শেষদিকে দ্রুতই রান তোলেন অ্যালেক্স ক্যারি। দিনের শেষ ঘণ্টায় দলের লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়ার কাজটুকু করে গেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা আর ক্যাচ মিসের মহড়ার সুযোগে তৃতীয় দিন ব্যাটিং শুরু করতে পারার স্বস্তি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ান এ কিপার ব্যাটার। ব্রিসবেনের গাব্বা গোলাপি বলের লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিন শেষেই স্বাগতিকদের লিড ৪৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার আক্ষেপ হতে পারে, তিনটি বড় ইনিংসকে তিন অঙ্কে রূপ দিতে না পারা। আর ইংলিশদের এক দিনেই পাঁচ ক্যাচ মিসের হতাশা।
অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৩৪ রান করে থেমেছে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৭৮ রান। ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শুরু করবেন অ্যালেক্স ক্যারি।
দিনের শেষ সেশনটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য মোটেও ভালো ছিল না। এ সময় ইংল্যান্ড তিন ক্যাচ মিস না করলে হয়তো লিডই পাওয়া হতো না স্বাগতিকদের; কিন্তু সুযোগ পেয়ে সেটা লুফে নিতে ভুল করেননি অজিরা। ৫৬ ওভারের পর চারটি ক্যাচ মিস হয়েছে ইংলিশদের। এর মধ্যে দুবার জীবন পেয়েছেন ক্যারি। একবার ইনিংস শুরু করার পর আরেকবার দিনের শেষদিকে এসে। ৬৯.২ ওভারে প্রথম স্লিপে ক্যারির ক্যাচ মিস করে উল্টো চার রান দেন জো রুট। এত সুযোগ মিসের সেই ঘণ্টাটায় অজিরা সুযোগ নিতে পেরে স্বস্তিতেই আছেন। দিনের শেষে সম্প্রচার চ্যানেলে মারনাস লাবুশানে বলেন, ‘শেষ ঘণ্টাটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল—৬ উইকেটে দিন শেষ করতে পারাটা। এতে সকালে দিনের সেশনে আমাদের একটু সময় পাওয়া যাবে এবং বোলিং ইনিংসটাও রাতের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে। সেজন্যই ওই সময়টা (শেষ ঘণ্টা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ মাঝে উইকেট হারালেও দিন শেষে যে অবস্থায় আছে, সেটাকে স্বস্তির বলছেন টপ অর্ডার এ ব্যাটার।
দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ডের শেষ জুটি ভাঙার বড় কৃতিত্ব পাবেন লাবুশানে। দুর্দান্ত এক ক্যাচে রীতিমতো আলোচনায়ও তিনি। অ্যাশেজের ইতিহাসে সেরা ক্যাচ কি না সে প্রশ্নও উঠছে। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও জ্যাক ওয়েদারাল্ড। তিন রানে ক্যাচ মিস থেকে জীবন পাওয়া হেড থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৩৩ রানে ব্রেন্ডন চেজের শিকার হন তিনি। ভাঙে ওয়েদারাল্ডের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি। ৭২ রানের ইনিংস খেলা ওয়েদারাল্ডকে ফেরান জোফরা আরচার। গোলাপি টেস্টে দুর্দান্ত লাবুশানে এবারও ব্যতিক্রম ছিলেন না। শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। মাত্র ১৬ ইনিংস ব্যাটিং করেই গোলাপি বলের টেস্টে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন অর্জন লাবুশানের। টেস্টে এত দ্রুত রান তুলতে খুব একটা দেখা যায় না লাবুশানেকে। দলের কোনো পরিকল্পনা ছিল না কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো বিশেষ কিছু বলা হয়নি। হেড ও ওয়েদারাল্ড দারুণভাবে মোমেন্টাম তুলে দেন, বাকিরা সেটাকে এগিয়ে নেন।’ ঠিক সেটাই হয়েছে। স্টিভেন স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন—সবাই যেন ইংল্যান্ডে বাজ বলই খেলেছেন।
মন্তব্য করুন