যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপের বাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যের বরাতে রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার এ দাবি করা হয়।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর জুলাই-আগস্ট সময়ে ৮৮৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, গত অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট ও চলতি বছরের এ সময়ের তুলনামূলক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বাজারে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৯৭৬ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ও কানাডার বাজারে ৭ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে ২৪৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়নে মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ ছাড়া স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের মতো ইইউর কিছু বড় বাজারেও রপ্তানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে। তবে ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ ও জার্মানিতে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ৯৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
দেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে, ইউরোপের বাজারে ৪৮, যুক্তরাজ্যের বাজারে ১২ এবং কানাডায় যাচ্ছে ১৮ শতাংশ। এসব তথ্য জানিয়ে বিজিএমইএর পরিচালক বলেন, ইউরোপে বড় বাজার সবসময় ছিল, এখনো আছে। যুক্তরাষ্ট্রে কখনো কম, কখনো বেশি হচ্ছে। তবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে নিয়মিতভাবে বাড়ছে। খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না। বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি ভালো হলে রপ্তানি আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন