দেশের পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০০৬ যখন রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েছিল, তখন পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর তা পাচ্ছে না। গতকাল সোমবার রাজধানীর বাংলামোটর বিআইপির মিলনায়তনে ‘বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে বৈঠকের আয়োজন করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, যে রাজনৈতিক আবহে আমরা আছি, সার্বিক বিবেচনায় রাজনৈতিক জবাবদিহিতা নেই। দূষণ বন্ধে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে, জনমতের কাছে। তবে এটি এখন প্রশাসনে গুরুত্ব পায় না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণ আছে তবে আশপাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই। এ শহর দূষণ করছে শহরবাসী নিজেরাই। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সফলতা তখনই আসবে, যখন শতভাগ জনগণ পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে। নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য দেওয়ার পরও দেশের আইন ও নীতিমালায় তার কোনো প্রতিফলন নেই। কিছু লোক দেখানো উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা কাজের নয়। বিআইপির সভাপতি ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কার্যকর সমাধান হতে পারে।
মন্তব্য করুন