মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন সহযোগিতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি চা শ্রমিকের হাতে নগদ অর্থ যাওয়ার কথা। কিন্তু তা চলে গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।
সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় চা শ্রমিকদের তালিকা করে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ কার্যক্রমে জিটুপি পদ্ধতিতে এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা সরাসরি চা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুদানপ্রাপ্ত ব্যক্তি এককালীন নগদ ৫ হাজার টাকা পাবেন। বিকাশের মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাঠানোর পদ্ধতি চালু থাকলেও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় পুরোনো পদ্ধতিতে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট গ্ৰাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নগদ অর্থ দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন গ্ৰাহকের টাকা নিজেই এজেন্টের কাছ থেকে উত্তোলন করেন। সে টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, অনুদান দেওয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে।
জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট সরাসরি ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে গ্ৰাহককে টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু নীতিমালা লঙ্ঘন করে টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিয়েছেন ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট।
হামিদিয়া চা বাগানের এক শ্রমিক কালবেলাকে বলেন, আমার মোবাইলে এসএমএস এলে ওইদিন ইউনিয়নে যাই। ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা; কিন্তু পেলাম ৪ হাজার। চেয়ারম্যান নিজের হাতে টাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৭২ চা শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নের অনুদানের তালিকা পাঠিয়েছি। তালিকা অনুযায়ী টাকা এসেছে। আমি কত তারিখে বিতরণ করেছি, সঠিক বলতে পারব না। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম।
মৌলভীবাজার জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সদর উপজেলায় বিকাশ পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি। ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে গ্ৰাহক টাকা তোলার কথা। সরাসরি ফিঙ্গার নিয়ে এজেন্ট গ্ৰাহকের হাতে টাকা তুলে দেবেন। এর বাইরে কারও হাতে টাকা দেওয়ার কথা নয়। এ রকম কিছু হলে এজেন্টের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।