কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পুতিন কেন ইউক্রেনের দনবাস দখলে মরিয়া

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক হোয়াইট হাউসে
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে গত শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকের আলোচনার আলোকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বসেন ট্রাম্প। শুক্রবারের শীর্ষ বৈঠক থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের যে প্রস্তাব উঠে এসেছে, তা-ই এদিনের আলোচ্য বিষয়। আলাস্কা বৈঠকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল—কিয়েভকে পূর্বাঞ্চলের শিল্প এলাকা দনবাস ছেড়ে দিতে রাজি করানো। ২০২২ সালে শুরু করা মস্কোর এ সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্যও ছিল এটি; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—পুতিন কেন ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল দখলে এতটা মরিয়া।

পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারে প্রশ্নে তার দীর্ঘদিনের দাবিতে এখনো অনড়। এ অঞ্চলগুলো হলো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (এ দুটি অঞ্চল নিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাস গঠিত) এবং দক্ষিণের জাপোরিজঝিয়া ও খেরসন। তবে মূল আগ্রহের কেন্দ্রে দনবাস অঞ্চল। ঐতিহ্যগতভাবে রুশভাষী এ অঞ্চলটিকেই পুতিন যুদ্ধের ‘মূল কারণ’ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন। এ অঞ্চল দখল করাই তার ভূখণ্ডগত ও রাজনৈতিক দাবির তালিকার প্রায় শীর্ষে রয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ২০১৪ সালে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণের অভিযান শুরুর পর থেকেই দনবাসের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছেন; প্রথমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করে, পরে ২০২২ সালে এ অঞ্চলে আক্রমণ ও নিজ দেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে। পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে দনবাস যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াইগুলোর সাক্ষী হয়েছে। এ অঞ্চলে রাশিয়ার বর্তমান গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য।

যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ইউক্রেনীয় গোষ্ঠী ডিপস্টেটের তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে ক্রেমলিনের বাহিনী এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিত্ররা দনবাসের প্রায় ৮৭ শতাংশ দখল করেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে রুশ বাহিনী এখন ইউক্রেনের হাতে থাকা এই অঞ্চলের বাকি ২ হাজার ৬০০ বর্গমাইল এলাকা ধীরে ধীরে দখল করছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি না হলে দনবাসের লড়াই প্রায় নিশ্চিতভাবে আগামী বছর পর্যন্ত গড়াবে। এতে প্রাণহানি ঘটবে আরও হাজার হাজার মানুষের। এই অঞ্চলের পরিণতিই যুদ্ধের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে।

পুতিনের প্রস্তাব কী : শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচিত শান্তিচুক্তির মূল বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট। যে কয়েকটি বিষয় জানা গেছে, তা মূলত পরে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি ফোনালাপে আলোচনার বিবরণ থেকে এসেছে। আলোচনা সম্পর্কে অবগত দুজন ঊর্ধ্বতন ইউরোপীয় কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, পুতিন দনবাস থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি করছেন। এর বিনিময়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বর্তমান ফ্রন্টলাইন (সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র) বরাবর ইউক্রেনের বাকি অংশে সংঘাত থামিয়ে দেওয়ার এবং ফের আক্রমণ না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

জেলেনস্কিকে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, ‘রাশিয়া অনেক বড় শক্তি; কিন্তু তারা (ইউক্রেন) তা নয়।’ এরই মধ্যে জেলেনস্কি রাশিয়ার দখলে না থাকা কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দনবাস ছাড়ব না। আমরা তা করতে পারি না।’

বিষয়টি নিয়ে সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বসেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, দনবাসের যে অংশটুকু এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে ২ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক বসবাস করে। তাদের অধিকাংশই স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্ক শহরের আশপাশের ঘনবসতিপূর্ণ ও সুরক্ষিত শিল্পাঞ্চলে থাকেন।

ট্রাম্পের ভাষ্য

ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে তার দেশে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারেন। তবে এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। আর এটাই হবে শান্তিচুক্তির একটি অংশ। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। পরে বৈঠকে জেলেনস্কিকে পাশে বসিয়ে ট্রাম্প বলেন, সম্ভবত যুদ্ধবিরতির কোনো প্রয়োজন নেই। এর মধ্যে চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ট্রাম্পের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিয়তা চান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, তারা ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় প্রস্তুত। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত থাকবে। এ বৈঠকের পর পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন বলে জানান ট্রাম্প।

এর আগে রোববার এক মার্কিন দূত বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে ন্যাটোর মতো একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে পুতিন সম্মত হতে পারেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে আসছেন।

রোববার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন, অথবা চাইলে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখুন, কীভাবে সবকিছু শুরু হয়েছিল। ওবামার (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা) আমলে ক্রিমিয়া (রাশিয়ার দখলে) চলে গিয়েছিল (১২ বছর আগে, একটিও গুলি ছোড়া হয়নি!), আর ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান, সেটা একেবারেই হবে না। কিছু বিষয় কখনোই বদলায় না!’

পুতিন কেন দনবাস দাবি করছেন

২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর মস্কো চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে গণভোট আয়োজন করে সেগুলো সংযুক্ত করে নেয়। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কও ছিল। সংযুক্ত করা চারটি অঞ্চলের মধ্যে রাশিয়া কেবল লুহানস্ক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

রুশ স্থলবাহিনী ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনের আরও আটটি অঞ্চলে যুদ্ধ করেছে। এর মধ্যে কিছু অঞ্চল থেকে তারা শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে, অন্যগুলোর সামান্য অংশ দখল করে রেখেছে। তবে দনবাসই পুতিনের যুদ্ধ-ভাবনার কেন্দ্রে রয়েছে। তিনি প্রথমে এই আক্রমণকে এ অঞ্চলের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সাল থেকে ক্রেমলিনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তায় কিয়েভ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।

ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা মস্কোর একজন সম্পাদক কন্সট্যান্টিন রেমচুকভ বলেন, ওই প্রতিশ্রুতির কারণেই ইউক্রেনে ‘কাজ সম্পন্ন’ হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার জন্য দনবাসের নিয়ন্ত্রণ পুতিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। রেমচুকভ ও ক্রেমলিনের অন্য ভাষ্যকাররা ধারণা করছেন, দখলকৃত অন্যান্য অঞ্চলের বিনিময়ে দনবাসের বাকি অংশ পাওয়ার জন্য আলোচনা করতে আগ্রহী হতে পারেন পুতিন।

মস্কোভিত্তিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ক্রেমলিনের সাবেক উপদেষ্টা সের্গেই মার্কভ বলেন, ‘নিপ্রো, সুমি বা খারকিভের চেয়ে দোনেৎস্ককে অনেক বেশি ‘আমাদের’ হিসেবে দেখা হয়।’ রুশ সেনাদের সীমিত উপস্থিতি রয়েছে এমন ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পুতিনের দাবির ভিত্তি কী

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইউক্রেন যখন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তখন থেকেই দনবাস নিয়ে বিরোধ চলছে। বলশেভিক বিপ্লবের পর বিশৃঙ্খল সময়ে এ অঞ্চলের শিল্প সম্পদের জন্য ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী, কমিউনিস্ট ও রুশ রাজতন্ত্রীদের মধ্যে লড়াই বাঁধে। স্তালিনের শিল্পায়ন এবং দমন-পীড়নমূলক নীতির আগপর্যন্ত এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই ছিল ইউক্রেনীয়। কিন্তু স্তালিনের নীতির ফলে রুশ শ্রমিকরা এ অঞ্চলের কয়লা খনি ও কারখানায় অভিবাসন করতে শুরু করে। ইউক্রেনীয় ভাষাকে দমিয়ে রাখা হয়। জনশুমারির তথ্যমতে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় দনবাসের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা রুশকে তাদের প্রথম ভাষা হিসেবে বিবেচনা করত। ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর প্রথম দশকগুলোতে রুশ সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ভাষা আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

ইউক্রেনের ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দনবাসের প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার রুশপন্থি প্রার্থী ভিক্টর এফ ইয়ানুকোভিচের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। চার বছর পর কিয়েভে বিক্ষোভকারীরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করলে পুতিন ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করেন এবং দনবাসে বিদ্রোহ উসকে দেন।

এই বিদ্রোহের ফলে দেশটিতে এ অঞ্চলে রুশবিরোধী মনোভাবের জন্ম হয়। ২০১৯ সালে ইউক্রেনের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দনবাসের ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত অংশটি ব্যাপক হারে জেলেনস্কিকে ভোট দেয়। তিনি রুশভাষী হলেও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন না দিয়ে শান্তি আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিকে পুতিন কয়েক বছরের অর্থনৈতিক স্থবিরতার পর জনগণের সমর্থন জোগাড়ের জন্য ক্রমবর্ধমান যুদ্ধংদেহী জাতীয়তাবাদের দিকে ঝুঁকছিলেন। তার প্রচারযন্ত্র দনবাসের পক্ষে রুশদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে। শেষপর্যন্ত তা সর্বাত্মক যুদ্ধে গড়ায়।

পুতিন কি দনবাসেই থেমে যাবেন

পুতিন বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনের অন্যান্য অংশ দখলের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর ফলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং অনেক পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক যুক্তি দেন, রাশিয়া বলপ্রয়োগে বা কূটনীতির মাধ্যমে দনবাস দখল করার পরও যুদ্ধ চলতে থাকবে। অনেক রুশ জাতীয়তাবাদী ও সেনা দনবাসের বাইরেও খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার বাকি ভূখণ্ড দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য যুদ্ধপন্থি ভাষ্যকাররা বলেছেন, জেলেনস্কির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

তবে অনেক স্বাধীন বিশ্লেষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, দনবাসের বাইরে আক্রমণ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অর্থনৈতিক ও সামরিক সামর্থ্য রাশিয়ার আছে কি না। রাশিয়ার অর্থনীতির গতি ধীর হয়ে পড়ছে, রাজস্ব আয় কমছে। ফলে রুশদের জীবনযাত্রার মান ব্যাপক না কমিয়ে আগামী বছর পর্যন্ত যুদ্ধের বর্তমান গতি বজায় রাখা ক্রেমলিনের জন্য কঠিন হবে।

কিছু বিশ্লেষকের মতে, কিছুটা দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুতিনকে অন্তত কিছুদিনের জন্য দনবাস নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে প্ররোচিত করতে পারে। কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের রুশ রাজনীতি বিশেষজ্ঞ তাতিয়ানা স্টানোভায়া বলেন, ‘রুশ সমাজ এমন শোচনীয় অবস্থায় আছে যে তারা যুদ্ধের প্রায় যে কোনো ফল মেনে নিতে প্রস্তুত থাকবে। সমাজের কিছু প্রান্তিক অংশ, যেমন উগ্র-দেশপ্রেমিক ও তাদের মতো অন্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাত্রার অসন্তোষ আসতে পারে। তবে ক্রেমলিন তা সামাল দিতে পারবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪ কারণে ভেঙে দুই ভাগ হয়েছিল চট্টগ্রামের সেতুটি

পুলিশের পোশাকে থানায় গুরুদায়িত্বে বিড়াল!

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরও দলকে জেতাতে পারলেন না সাকিব

দলকে ফাইনালে তুলে যা বললেন মেসি

চাকরি দিচ্ছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ উত্তেজিত জনতার

আবু সাইদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

কেন নিজের ‘বিকিনি’ ছবির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন শর্মিলা?

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৪ প্রতিনিধি যোগ দিলেন ছাত্রদলে

ধীরে ধীরে খেলে কি সত্যি ওজন কমে?

১০

চীন সফরে কিম-পুতিনসহ ২৬ রাষ্ট্রপ্রধান

১১

বিকেলে ব্যাংকে ঢুকে লুকিয়ে ছিল সহিদুল, রাতে ডাকাতির চেষ্টা

১২

সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়? মেনে চলুন এই ৬ টিপস

১৩

মেসি ঝলকে ফাইনালে মায়ামি

১৪

চাঁদা না দেওয়ায় গণঅধিকার নেতার হাতে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

১৫

মাদকসেবন করে মাতলামি করায় যুবকের কারাদণ্ড

১৬

আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না: সুনীতা আহুজা 

১৭

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর 

১৮

শহিদের সঙ্গে প্রেম-বিচ্ছেদের কারণ জানালেন কারিনা

১৯

গাজায় তীব্র রূপ ধারণ করেছে দুর্ভিক্ষ, অনাহারে মৃত্যু ৩১৩ জনের

২০
X