এবারের ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মোট ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যার মধ্যে দর্শক চাহিদায় ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ ওপরের দিকে। দুটি সিনেমাতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের। যার মাধ্যমে দেশের দর্শকের কাছে আরও একবার নিজের অভিনয় উচ্চতার প্রমাণ রেখেছেন এই গুণী। পর্দায় তাকে দেখে তৃপ্তির ঢেকুরও তুলেছে দর্শক। সবকিছু মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি ঈদ কাটানো জয়া কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ ও তানিম নূরের ‘উৎসব’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে। লিখেছেন—মহিউদ্দীন মাহি
এবারের ঈদে আপনার দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ব্যস্ততার এই ঈদ কেমন কাটল আপনার...
অসাধারণ সময় কেটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সিনেমারগুলোর খবর নিয়েছি। এরপর প্রেক্ষাগৃহে এসে সবার সঙ্গে আড্ডা। দর্শক প্রতিক্রিয়া জানা। তারপর সিনেমা দুটি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ একটি ঈদ কাটালাম, যা এখনো চলমান আছে।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ এবং ‘উৎসব’ দুটি সিনেমাই দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে। এ বিষয়টি কেমন লাগছে?
খুবই ভালো লাগছে। কারণ ‘তাণ্ডব’ দেখতে এসে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় এবং উৎসব নিয়ে দর্শকের যে ভালোবাসা—দুটিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া এ দুই সিনেমার গল্প এবং দর্শক দুটিই আলাদা। যার জন্য দর্শকের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখে সত্যিই আনন্দ হচ্ছে। তবে একটি বিষয় সেটি হচ্ছে, দর্শককে যদি সিনেমার অপশন দেওয়া যায়, যেমন যার যে ধরনের গল্প পছন্দ, প্রেক্ষাগৃহে এসে সে তেমন সিনেমাই দেখার সুযোগ পাবে। তাহলে হলে দর্শক আসতে বাধ্য। যেটি এবার দেখলাম। কারণ সবাই ভালো গল্পের সিনেমা চায়। এবারের ঈদে আমার দুটি সিনেমা নিয়ে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি তা আনন্দের।
আপনার কাছে দুটি সিনেমার যে পার্থক্য...
দুটি সিনেমার গল্প এবং ধরন আলাদা। তবে আমি ‘উৎসব’ সিনেমায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, তা আগে কখনো করিনি। এ ছাড়া দুটি সিনেমার নির্মাতাই দারুণ প্রতিভাবান। তাদের সঙ্গে কাজের যে অভিজ্ঞতা—সেটি দুর্দান্ত। তাই দুই নির্মাতাকেই ধন্যবাদ আমাকে তাদের প্রজেক্টে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আর দুটি সিনেমার মধ্যে কী পার্থক্য সেটি দর্শক বলছে, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তাহলে স্পয়লার হয়ে যাবে।
‘তাণ্ডব’ সিনেমা দিয়ে সাবিলা নূরের অভিষেক হয়েছে। যে আপনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। তাকে নিয়ে কী বলবেন?
সাবিলা নূরের অভিনয় ও নাচের যোগ্যতা নিয়ে আমার আগে থেকেই জানা ছিল। আমি জানতাম ও দুর্দান্ত নাচে এবং অভিনয় দিয়ে এরই মধ্যে নিজেকে সে প্রমাণ করেছে। আর তাণ্ডবে তো ম্যাজিক দেখিয়ে দিয়েছে। সাবিলার লিচু বাগানের গান আমার মুখস্থ, যা আমি সারা দিনই গুনগুন করে গাই। এমন প্রতিভাবান একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্যও ভালো লাগার।
ঈদের দিন থেকে প্রেক্ষাগৃহে ঘুরেছেন, দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন—এ বিষয়টি কেমন উপভোগ করেছেন?
সবচেয়ে ভালো লাগা এবং আনন্দের বিষয় এটি। কারণ আমরা দর্শকের জন্য কাজ করি। তাদের কাছে কাজটি যখন গ্রহণযোগ্যতা পায়, তখনই সব পরিশ্রম সার্থক। এ বিষয়টি আমি উপভোগ করি। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা আমি সবসময়ই পেয়েছি। তাই তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ পেলে আমি কখনো হাতছাড়া করি না।
নির্মাতা তানিম নূরের প্রথম সিনেমার পর দ্বিতীয় সিনেমাতেও অভিনয় করলেন, এ বিষয়টি কেমন লাগছে?
তানিম নূর প্রতিভাবান একজন নির্মাতা। তাই ও যখন কাজের কথা বলে; শুধু আমি নই, সবাই এক কথায় রাজি হয়ে যায়। কারণ তার সঙ্গে কাজের সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায় না।
সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
রাফীর ভাবনার জগৎ আলাদা। তার কাজের নিজস্ব ধরন আছে। সবসময় নতুন কিছু করা এবং ঝুঁকি নিতে পছন্দ করা একজন নির্মাতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন