নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁর ৫০ পয়সার ফুলকপি ঢাকায় ৩০ টাকা

নওগাঁয় বিক্রির জন্য বাজারে আনা ফুলকপি। ছবি : কালবেলা
নওগাঁয় বিক্রির জন্য বাজারে আনা ফুলকপি। ছবি : কালবেলা

ভালো লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়েছে তাদের। পাইকারি প্রতিটি ফুলকপি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা, সর্বোচ্চ ২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। একই ফুলকপি ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন।

কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিটি ফুলকপির দাম পড়ছে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ পয়সা। এরপরও কেউ কেউ অপেক্ষা করেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক, আসলও উঠছে না। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতের এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে ধস নেমেছে।

ফুলকপি বিক্রেতা আকবর হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনই ফুলকপি ১ থেকে ২ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কপি কেনার মতো মানুষ নেই। এক বিঘা জমির কপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে আমরা কী করে চলব। ধার-দেনা করে ফুলকপি চাষ করেছি। এখন সেই টাকাই তো পরিশোধ করা সম্ভব নয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

নওগাঁ কৃষিবিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার কালবেলাকে বলেন, চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হয়ে গেছে। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। কিনতে চাচ্ছে না ভোক্তারা। তাই দাম কম পাচ্ছে কৃষকরা।

একইদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা করে। ক্রেতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমি আজিমপুর কাঁচাবাজার থেকে ৩০ টাকায় এক পিস ফুলকপি কিনেছি। শুনেছি গ্রামে অনেক কম দাম।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শিপন জানান, গ্রামে শীতকালীন সবজির দাম অনেক কম। গ্রামের বাজারে কৃষকরা সরাসরি পাইকারদের কাছে পণ্য বিক্রি করেন। সেই একই পণ্য ঢাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আসতে অনেক হাত বদল হয়। ফলে পণ্যের দামও বেড়ে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘কৈফিয়ত’ দিলেন ফারুকী

নেট দুনিয়ায় কারা বেশি ছবি শেয়ার করেন, সুখী নাকি অসুখী দম্পতি?

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ফারমার্স কার্ড করে দেওয়া হবে : টুকু

মানবপাচারবিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে বাংলাদেশ : মার্কিন রিপোর্ট

নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা পড়া কীসের লক্ষণ?

ভারত নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি

‘বাংলাদেশ-চীনের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে’

রাত ১টার মধ্যে ঝড়-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে

চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা

১০

৭ অক্টোবর বছরের প্রথম সুপারমুন, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

১১

বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে পারে ফরচুন বরিশাল

১২

ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে চান ইসরায়েলি রাজনীতিক

১৩

ইয়ারফোন কানে না দিলে কাজে মন বসে না? অজান্তেই যে ক্ষতি করছেন

১৪

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাকিস্তানের বার্তা

১৫

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য চমক রেখে ভারতীয় দল ঘোষণা

১৬

যশোরে এক দিনে কাঁচা মরিচ কেজিতে বাড়ল ১৭০ টাকা

১৭

গাজায় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বানের পরই বোমা ফেলল ইসরায়েল

১৮

সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১৯

নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে: সালাহউদ্দিন

২০
X