বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্যাংকের সুদহার নিয়ে গভর্নরের বার্তা

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি : সংগৃহীত
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যবসায়ীরা চাপ দিলেই যে সুদহার কমিয়ে দেব, তা হবে না। আগে মূল্যস্ফীতি কমবে, তারপর পলিসি রেট, আস্তে আস্তে কমানো হবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কার্যালয়ে ব্যাংক খাতের পুনরুদ্ধারের পথযাত্রা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, আমি চাই পলিসি রেট বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক হোক। একেবারেই না হলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমবে না। বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, ভারতকে দেখুন, সব জায়গায় উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক নীতি সুদহার আছে। তো আমাকে ওইটাতে আনতে হবে। আমি এখনো ওখানে যাইনি।

তবে সুদহার কাঠামো ও মূল্যস্ফীতি সঠিক দিকে আগাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সময়মতো এটা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের তাড়াহুড়োর দরকার নেই। আমাকে ব্যবসায়ীরা চাপ দিলেই সুদ হার কমিয়ে দেব, তা হবে না। মূল্যস্ফীতি, ট্রেজারি বিল, ইন্টারেস্ট পলিসি সব রেট কমবে, তখন আমি পলিসি রেট আস্তে আস্তে কমাব, এর আগে নয়।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে গভর্নর বলেন, ‘আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই এবং আর্থিক খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করার কাজ জোরেশোরে চলছে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকও আমাদের বিশ্বব্যাপী সেরা ব্যবস্থা বা নীতিমালা খুঁজে পেতে সহায়তা করছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনর্গঠনে কাজ করছি।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এর ভিত মজবুত করতে চেষ্টা করব, তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না। যখন পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখনো এই সংস্কারপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

গভর্নর বলেন, গৃহিণী, স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বসিয়ে দিচ্ছি। তাদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই। আমরা এসব চাই না। ব্যাংকের পরিচালক হতে ফিট অ্যান্ড প্রপার টেস্ট (অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পরীক্ষা) পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যারা এখন পরিচালক আছেন, তারাসহ সবাইকে এই যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার গুণাবলি থাকতে হবে। ব্যাংকের মালিকদেরও এই যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যোগ্যতা থাকলে মালিকরা পরিচালক হবেন, যোগ্যতা না থাকলে হবেন না। সিটি ব্যাংক-এনএর মালিক কারা, তা কেউ জানেন না।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের ঋণ নিয়ে একটি চক্রের মধ্যে আছি। আমি সেই লোক নই যে চাটুকারিতা করে টাকা আনব। গত ছয় মাসে অর্থনীতি যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে রিজার্ভের পতন ঠেকানো, বিনিময় হারে একধরনের স্থিতিশীল অবস্থা, রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ে ভালো অবস্থা, আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ, সব মিলে নেতিবাচক অবস্থা থেকে চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। কেবল রাজস্ব আয়টা ঠিক রাখা গেলে মাত্র পৌনে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের জন্য আইএমএফেরর কাছে ধরনা দিতে হতো না। আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর নীতি দরকার।

সম্পদের পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা কেবল আশা করতে পারি যে বাংলাদেশে কিছু রায় পাবে এবং বিদেশে কিছু সম্পত্তি আটকানো সম্ভব হবে। অর্থ ফেরত আনা দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি। নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, অ্যাঙ্গোলার মতো দেশগুলো সফলভাবে অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ‘মহান মে দিবস’ আজ

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, প্রশাসনের সতর্কতা

রাজধানী থেকে পুরনো যানবাহন সরাতে অ্যাকশনে নামছে বিআরটিএ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

ববি প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা

স্কুলের ১৮টি গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে চিঠি

আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা

বাবরি মসজিদ বানাবেন পাকিস্তানি সেনারা : পাকিস্তানের সিনেটর

কাশ্মীর হামলার পর চাপে ভারতের মুসলিমরা, বেড়েছে দমনপীড়ন

১০

ছাত্রদের ক্ষমতায় এনে দেশের ক্ষতি করা হয়েছে : সোহেল

১১

সন্ধ্যা নদীতে বাঁধ নির্মাণের দাবি

১২

মে মাসে হতে পারে ২টি ঘূর্ণিঝড়

১৩

শ্রমিক সমাবেশে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

১৪

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ইসরায়েলে

১৫

গ্রাহকদের জন্য বাড়তি সুবিধা আনল বাংলালিংক

১৬

জয়ের পরও শান্তর মুখে হতাশা

১৭

রাজশাহী মাউশি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন

১৮

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১৯

মুসলিম ছাত্রকে পাকিস্তানের পতাকায় মূত্রত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ ভারতে

২০
X