বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের রূপরেখা নির্ধারণে এক ব্যতিক্রমী সৌহার্দ্যপূর্ণ মিলনমেলার আয়োজন করলেন আসন্ন ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের ই-ক্যাব নির্বাহী কমিটির প্রার্থীরা। যেখানে ছিল মতবিনিময়, ভবিষ্যৎ ভাবনা ও সহযোগিতার প্রতিচ্ছবি।
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটনে মঙ্গলবার (৫ মে) এ আয়োজন হয়।
বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সভায় উঠে আসে ই-কমার্স খাতের কাঠামোগত দুর্বলতা, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি।
প্রার্থীরা একমত হন, দেশের ই-কমার্স খাত দ্রুত এগিয়ে গেলেও এখনো রয়েছে বেশ কিছু নীতি-গত অসংগতি, গ্রাহক সন্তুষ্টির ঘাটতি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দক্ষতা সংকট এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা।
আলোচনায় প্রাধান্য পায়—নিয়ন্ত্রক কাঠামো সংস্কার, গ্রাহক আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং লজিস্টিকস ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকায়ন।
একজন প্রার্থী বলেন, আমরা ভিন্ন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উদ্ভাবনী ই-কমার্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।
আয়োজনটি ছিল নিরপেক্ষ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিচালিত। সকল প্রার্থী আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন ই-ক্যাব নির্বাচন (৩১ মে) হবে একটি সুন্দর ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা খাতটির সামনে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের দরজা খুলে দেবে।
শেষে উপস্থিত প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেন—নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের ই-কমার্সকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন তারা।
তাদের মতে, একসাথে চললে সম্ভব সব-এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ই-কমার্সে সাফল্যের মূলমন্ত্র।
মন্তব্য করুন