কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকার বাণিজ্য কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : ভোক্তা ডিজি

এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে পুরস্কার তুলে দেন এএইচএম সফিকুজ্জামান। ছবি : কালবেলা
এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে পুরস্কার তুলে দেন এএইচএম সফিকুজ্জামান। ছবি : কালবেলা

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, বাণিজ্য কূটনীতিকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কা বা ভেনিজুয়েলা হবে না। বর্তমানে বিশ্বে ৩৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে, যা পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করবে। কেউই রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলমান থাকবে।’

তিনি জানান, ‘সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় ইতোমধ্যে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ নেই। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো ও সংস্থাসমূহ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে যে জীবন ধারণ করছে সেটা কল্পনা করা যায় না। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছে। ধার কর্জ করে ঋণ নিয়ে চলছে। মানুষ কষ্টে আছে। মধ্যবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে নীরব যন্ত্রণায় ভুগছে। ব্যবসায়ীরা এখন কম লাভে সন্তুষ্টি পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা ও অতিলোভ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর হাতে রুখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার সাথে সাথে মানুষের আয় বাড়লে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হলে ভোক্তাদের কষ্ট কম হয়। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়লেও মধ্যবিত্তের উপার্জন বাড়েনি। নতুন কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্যকে উসকে দিচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিয়াউর রহমান বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন : ওবায়দুল কাদের

কাঁচা মরিচের বাজারে আগুন

জরিমানা না দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে

বর্ণবাদ রোধে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা ফিফার

চার পদে আটজনকে নিয়োগ দেবে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭

আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থহীনের নতুন সদস্যের নাম ঘোষণা

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা ফিলিস্তিনের

ব্যস্ত সূচিতে নিজেকে ফিট রাখাই চ্যালেঞ্জ মেসির

ইউপিডিএফের ২ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

১০

তীব্র দাবদাহেও থেমে নেই জীবনযুদ্ধ

১১

ইউজিসির অনাপত্তিপত্র ছাড়াই শেকৃবিতে নিয়োগ

১২

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৩

অস্তিত্ব জানান দিতেই লিফলেট বিতরণ বিএনপির : কাদের

১৪

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

১৫

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

১৬

বন্ধু হারাচ্ছে ইসরায়েল, চাপে নেতানিয়াহু

১৭

রাজধানীতে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

১৮

সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী

১৯

ধান কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১

২০
X