দেশের চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদ হার বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদ হার কমানোর সুফলও হিসেবে গত নভেম্বর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আগের মাসগুলোর তুলনায় কিছুটা কমেছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টাও এবার ব্যর্থ হয়েছে।
গত দুই মাস মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও ফের বেড়েছে জানুয়ারিতে। এ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। যা আগের মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নভেম্বরের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এবারে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। নভেম্বরে যে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল তা এবার বেড়ে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশে উঠেছে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। মূল্যল্যস্ফীতি উচ্চপর্যায়ে থাকায় মাঝপথে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। কিন্তু সেটার ধারে কাছেও নেই মূল্যস্ফীতি।
কয়েক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, এবার গ্রামের চেয়ে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে। জানুয়ারিতে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশে, ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছে।
এদিকে গ্রামে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশে, ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছে যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ প্রশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে। যা ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মন্তব্য করুন