রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ এই মামলা দায়ের করেন। একই মামলায় ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ- ধর্ষণের সহায়তার অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে।
আদালতের নির্দেশে ৮ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক (ফারুকী)।
মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৮ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির দাতাসদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা। মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে। আদালত বাদীর (ছাত্রীর বাবা) জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী মামলাটি থানা-পুলিশ নথিভুক্ত করে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির এক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকেও আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আমরা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে’ হয়রানির অভিযোগে গত ৩১ মে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি (গভর্নিং বডি)।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে এসংক্রান্ত অপহরণ মামলা করার পর আলোচিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় গত ১৬ জুলাই। ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানায়, তাকে কেউ অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি। ওই দিন আদালত থেকে নিজ জিম্মায় মুক্তি নিয়ে সে মুশতাকের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসে।
এরও আগে গত ৪ জুলাই মুশতাক হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। সেখানেও ওই ছাত্রী জানায়, তারা বিয়ে করেছে।
মন্তব্য করুন