ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী) চলাচল করা যানবাহনকে টোল দিতে হবে। যানভেদে সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১০০ টাকা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ির গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। পথচারী ও বাইসাইকেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে না।
এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সে হিসেবে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ টোলের হার পরিস্থিতি বুঝে কম বা বেশি হতে পারে।
তথ্যমতে, হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন টোল ১০০ টাকা। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে বা আংশিক ব্যবহার করলেই এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এক্সপ্রেসওয়ের শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করলে হালকা যানবাহনের জন্য ১২৫ টাকা দিতে হবে। বাসের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক ব্যবহার করলে ২০০ টাকা এবং পুরো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
ছয় চাকার পর্যন্ত মাঝারি আকারের ট্রাক এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক ব্যবহার করলে ৪০০ টাকা এবং পুরোটা ব্যবহার করলে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
ছয় চাকার বেশি বড় ট্রাকের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক ব্যবহারে ৫০০ টাকা এবং পুরো ব্যবহার করলে ৬২৫ টাকা দিতে হবে।
টোল নির্ধারণের বিষয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের টোলহার আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।’
আগামী ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটির এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সোমবার (১৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন