বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চলাকালে নগর ভবনে কর্মচারীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ পর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইশরাক হোসেন নগর ভবনে যান। এসময় তিনি দুপক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরভবনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিএনপি নেতা ইশরাকের চলমান আন্দোলনে এ দুই পক্ষই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও ডিএসসিসি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ব্যাপক ভাঙচুরে চালান তারা। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনার পর নগর ভবন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রিন্স গ্রুপের প্রিন্স মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়েই মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণে নগর ভবনের সাধারণ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যেই জরুরি সব কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।
ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের দুজন লোক এসেছিল সেখানে। এটা দেখে আমাদের লোকজন সামান্য উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। পরে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে, চেয়ার ঠেকাতে গিয়ে আমার মাথায় আঘাত লাগে। আমি এবং আমাদের আরেক সদস্য আহত হন। তবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে আমাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে।
ডিএসসিসি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স বলেন, আমাদের প্রধান সমন্বয়ক মশিউর রহমান স্যার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভান্ডারের কর্মকর্তা কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছিল, যে, গরু কোরবানি, পশুর হাট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে মালামাল এগুলো যেন সঠিকভাবে সরবরাহ করা হয়। কোনোভাবেই যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে, আমরা অনুরোধ করছিলাম। এই সময়ে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত এসে হামলা চালায়, আমাদের পাঁচ সাতজনকে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে আমরা এখন শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
মন্তব্য করুন