কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মগবাজারে হোটেলে খাবার খাওয়ার পর বমি, বাবা-মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী, ও তাদের ছেলে নাঈম হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী, ও তাদের ছেলে নাঈম হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রবাসী, তার স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) সকালে বমিজনিত অসুস্থতার কারণে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়।

তারা হলেন- সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন (৪৮), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বপ্না (৩৮) ও তাদের ছেলে নাঈম হোসেন (১৮)। নিহতদের গ্রামের বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে।

তাদের মরদেহ আদ্-দ্বীন হাসপাতালে রাখা হয়েছে। রমনা থানা পুলিশ সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাবে।

চিকিৎসকদের বরাতে নিহত মনিরের চাচা মো. রফিক বলেন, খাবারের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।

তিনি জানান, ছেলে নাঈমের চিকিৎসার জন্য তারা ঢাকায় আসেন। ডাক্তার দেখাতে না পেরে মগবাজারে সুইট স্লিপ নামে একটি আবাসিক হোটেলে থাকেন। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ও রাতে মগবাজারের ‘ভর্তা-ভাত’ নামে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। এরপর থেকে বমি বমি ভাব হচ্ছিল। একাধিকবার বমিও করেন। পরে বেশি অসুস্থবোধ করার সকালে তাকে ডেকে আনেন। একজন ফার্মেসির লোক এনে তাদের দেখানো হয়। অবস্থা খারাপ দেখে তাদের আদ্‌-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনজনই মারা যান।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, হোটেল কক্ষ থেকে ভর্তা ভাত হোটেলের একটি পার্সেল ব্যাগ ও বমির ওষুধসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া আমরা সিসিক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করছি। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হবে।

হোটেল সুইট স্লিপের সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মানিক জানান, শনিবার বিকেলে মনির হোসেন তার স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে হোটেলে আসেন। তারা শনিবার সন্ধ্যায় আদ্-দ্বীন হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে যান। সেখান থেকে রাতেই হোটেলে আসেন। তাদের সঙ্গে এক কেয়ারটেকারও ছিলেন। কেয়ারটেকার তাদের দেখাশোনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার এনে দিতেন। সেই খাবারই তারা খেয়েছেন। তারা কখন অসুস্থ হয়েছেন, তা হোটেলের কেউ টের পাননি। কেয়ারটেকার প্রথমে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান, এরপর ওই পুরুষকেও নিয়ে যান। তখন হোটেলের সবাই বিষয়টি জানতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিজওয়ান-সালমানের জুটিতে প্রথম দিনে স্বস্তিতে পাকিস্তান

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে : দুলু

লিবিয়ার উপকূলে ৬১ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার

উপদেষ্টার পরিদর্শনের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নেই যানজট

যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টা

দোহায় হতে যাচ্ছে স্পেন-আর্জেন্টিনার বহু প্রতীক্ষিত ফিনালিসিমা!

অস্থায়ী ভিসার ৮২ পেশার তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্য

মাউশি ভেঙে হচ্ছে পৃথক অধিদপ্তর, নাম কী?

আমি ষড়যন্ত্রের শিকার : ছাত্রদল নেতা শাওন

আফগানিস্তানের ২০০’র বেশি সৈন্য নিহত, পাকিস্তানির দাবি

১০

১০ দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে ইসি

১১

ট্রাম্পের গাজা শান্তি সম্মেলনে ডাকা হয়েছে মোদিকে!

১২

সোনারগাঁওয়ে ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৩

চট্টগ্রাম থেকে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা

১৪

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যেসব দাবি

১৫

চাকসু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ, সর্বাবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে সিসিটিভি ফুটেজ

১৬

তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে নতুন দৌলতপুর : শরিফ উদ্দিন জুয়েল

১৭

ইউটিউব চ্যানেল দ্রুত জনপ্রিয় করতে মানুন এই ৮ টিপস

১৮

ওসমানী উদ্যানে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

১৯

মসজিদে সিঁড়িতে ঝুলছিল প্রবাসীর লাশ

২০
X