রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চুরি হওয়া সোনার মধ্যে অলংকার ও সোনার বার রয়েছে। যদিও কতটুকু সোনা চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা। অনুমান করা হচ্ছে, গুদাম থেকে চুরি হওয়া সোনার পরিমাণ ৫৫ কেজি হতে পারে।
এ বিষয়ে কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ বলেন, গুদাম থেকে সোনা চুরি হওয়ার বিষয়টি মোটামুটিভাবে আমরা নিশ্চিত। একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কাজ করছে বলে আমরা অনুমান করছি। কাস্টমস হাউস ও সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি টিম দোষীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও কাস্টমস হাউসের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই জব্দকৃত মালামাল গুদাম থেকে চুরি হচ্ছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টমস হাউস কাজ করছিল। ১ ও ২ সেপ্টেম্বর কাস্টমস হাউসের আলাদা দুটি টিম গুদামের মালামালের তালিকা প্রস্তুত করা এবং গুদাম পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। গতকাল শনিবার একটি টিম দেখতে পায় যে, বাইরে থেকে তালা অক্ষত থাকলেও ভেতরের লকার ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এরপরই সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। গুদামের মালামালের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুতই চুরি হওয়া প্রকৃত মালামাল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য বের করা সম্ভব হবে।
তারা আরও জানান, আমাদের ধারণা, চোর নিজেদের ভেতরেই রয়েছে। তাদের শনাক্তে কাজ করছে একটি যৌথ টিম।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। বিমানবন্দরে কাস্টমসসহ বিভিন্ন এজেন্সির জব্দ করা মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে এই গুদামে।
মন্তব্য করুন