তামাক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে তাদের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর অবসর ভবনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র-ডব়্প এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানায়।
এ সময় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, এনএসইউ গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিশাদ চৌধুরী রবিন, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচালক মোহাম্মদ আলী, মুন্সী আলাউদ্দীন আল আজাদ, মো. সুরাতুজ্জামান, মো. ইসমাইল হোসেন, সামসাদ বেগম প্রমুখ।
সারোয়ার বারী বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া পরিমার্জনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে। গত ১৩ জুলাই এই উপদেষ্টা কমিটি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির সঙ্গে বসে তাদের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ডব্লিউএইচও এফটিসি এর ধারা ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কেননা, ধারা ৫.৩ অনুযায়ী, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানি বা তাদের সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষের প্রস্তাব, মতামত বা অংশগ্রহণ কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয়।
রিশাদ চৌধুরী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পেতে হবে জনস্বাস্থ্যের— তামাক কোম্পানির স্বার্থের নয়—এবং তামাক কোম্পানি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়ার জন্য কোনো পরামর্শ সভা আয়োজন করা যাবে না।
ডব়্প-এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জেবা আফরোজা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন