সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদের দিনেও প্রিয়জনের উদ্দেশে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনদের কাছে ছুটছেন। প্রিয়জনদের কাছে না ফিরলে যেন ঈদের সব আনন্দই মাটি। তাই তো শত ব্যস্ততা, ঝামেলা এবং কাজ এক পাশে সরিয়ে রেখে কয়েক মুহূর্তের জন্য হলে এখনো বাড়ি ফিরছেন মানুষ। অনেকে বাড়ি ফিরতে পারেননি ছুটি না পেয়ে, কেউ আবার যানবাহনের কারণে, আর অনেকে ভোগান্তি এড়াতে বাড়ি ফিরছেন ঈদের দিন। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতেই তারা ছুটে যাচ্ছেন নাড়ির টানে। কেউ কেউ সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পোষা বিড়াল, কুকুর ও পাখি।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে দেখা যায়, গ্রামের বাড়ি যেতে বাসস্ট্যান্ডে আসছেন অনেক যাত্রী। তবে গত কয়েকদিনের ন্যায় তেমন ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও গাড়ি গুলো একঘণ্টা পর পর ছেড়ে যাচ্ছে খুলনা-বরিশাল-সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের উদ্দেশে।
যাত্রীরা জানান, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেননি। তাই পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের এক নজর দেখতে ঈদের দিনে বাসে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা।
পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল ফিরছেন আরিফ নামে এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, চাকরির কারণে এবং টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা। তাই ঈদের দিন বাড়ি ফিরছেন তারা। মিরপুর-১০ এর বাসিন্দা মেহেদী হাসান পেশায় একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। ছুটি না পাওয়ায় আজ বাড়ি ফিরছেন তিনি। তার সাথে তার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে তার প্রিয় পোষা বিড়ালটও।
মেহেদী বলেন, ছুটি না পাওয়ায় আজ ঈদের দিন বাড়ি ফিরছি। দুই দিনের ছুটি নিয়েছি অনেক অনুনয়বিনয় করে করে। দুদিন বাসায় থাকব না। তাই পোষা বিড়ালটিকেও গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে আজকে একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছে বাস কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ভাড়া বেশি নিচ্ছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ বাসেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ পরিবহন। ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের কাউন্টার কর্মকর্তা রাব্বি হাসান বলেন, আমরা মালিকের গাড়ি চালাই। আমাদের যেভাবে নিতে বলছে, সেভাবেই নিচ্ছি। যা পাই সেটা মালিকের পকেটেই যায়। তবে ভাড়া বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। গুলিস্তান থেকে গোপালগঞ্জের নির্ধারিত ভাড়া ৫৫০ টাকা আর এসি বাসের ভাড়া ৭৫০ টাকা করে নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন