

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেছেন, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ টার্গেটে ছিলেন না, টার্গেটে ছিল নিহত সরওয়ার বাবলা। স্ট্রেট বুলেট বাবলার গায়ে লেগেছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি বাবলার এলাকা ছিল। যারা করেছে তারা বাবলার প্রতিপক্ষ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ করবেন, এই স্থানে যাবেন সে ব্যাপারে পুলিশকেও জানানো হয়নি। এই সন্ত্রাসীদের আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় আনব। নির্বাচনকে ব্যাহত করতে এটা করা হয়েছে, সেটা এখন বলা ঠিক হবে না। এর ফলে নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
এর আগে চট্টগ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যার এ ঘটনার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গণসংযোগে অংশ নেওয়া এক কর্মীর করা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়েছে।
ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকার একটি দোকানে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালাতে যান এরশাদ উল্লাহ। এ সময় তার আশপাশে অনেক নেতাকর্মী ভিড় করে ছিলেন। তবে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়।
ভিডিওতে পরপর সাত রাউন্ড গুলি চালানোর শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা ভয়ে দৌড়ে সরে যান। পরে এরশাদ উল্লাহকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এরশাদ উল্লাহর বুকের পাশে গুলি লেগে তা বেরিয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (উত্তর) পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, বিকেলে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহর বুকের পাশে গুলি লেগে তা বেরিয়ে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে।
মন্তব্য করুন