সরকারিভাবে ঈদের ছুটি শেষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক খুললেও এখনও সেখানে ঈদের আমেজ চলছে। মার্কেট, শপিং মলসহ বেশকিছু কারখানা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখনও কর্মমুখর হয়নি চট্টগ্রাম নগরী। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতেও যানবাহনের চাপ ছিল কম। বিনোদনকেন্দ্রে দেখা গেছে ভিড়। যানজট না থাকায় নগরের পথে পথে গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো উপভোগ করেছেন অনেকে।
দেখা যায়, ঈদের পঞ্চম দিনেও নগরীর অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, প্রজাপতি পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, অভয়মিত্র ঘাটে হৈ চৈ করে ঈদের ছুটি উপভোগ করেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। ফয়’স লেকে সার্কাস সুইং, বাম্পার ঈদের ছুটিতে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই-স্লাইড, ইয়োলো ড্রাই-স্লাইড, বাগ বাউন্স রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিশুরা।
কালামিয়া বাজার থেকে ফয়’স লেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার ওয়াসি মো. জিহান বলেন, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আব্বু আম্মুর সঙ্গে ফয়’স লেকে আসি।
ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, প্রথম দিন দর্শনার্থী কিছুটা কম ছিল। তবে দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন ও চতুর্থ দিন ভালো দর্শনার্থী ছিল। আজও দর্শনার্থীর ভিড় আছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাটিয়েছে বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচার সামনে। অভিভাবকদেরও বিভিন্ন পশু-পাখির নামের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দিতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ঈদের চতুর্থ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৬৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
পতেঙ্গা থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঈদের পঞ্চম দিনেও পতেঙ্গায় মানুষের ভিড় রয়েছে। নির্বিঘ্নে ঘুরার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।
মন্তব্য করুন