ফেসবুকের আইডির প্রোফাইলে পল্লী বিদ্যুতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন নিজেকে। বিয়ের জন্য পাত্রী চেয়ে দেন বিজ্ঞাপন। আগ্রহী হয়ে সম্পর্কে জড়ান বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণী। বিশ্বাস করে ধর্ষণের ফাঁদে পা তরুণীর। ধর্ষণ মামলায় অবশেষে ওই প্রতারক আটকা পড়লেন পুলিশের জালে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২২ মে) রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম শিবলী সাদিক নাঈম। তিনি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের বমটেক গ্রামের মৃত এ কে এম হুমায়ুনের ছেলে। সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে তিনি মিরসরাইয়ে শিল্পনগরে নির্মাণাধীন কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, শিবলীর নির্দিষ্ট কোনো থাকার জায়গা নেই। তিনি মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও পতেঙ্গা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ পাওয়া সাপেক্ষে ভাসমান থাকত। তিনি ‘আসলাম চৌধুরী’ নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম শহরে তার নিজস্ব বাড়ি ও গাড়ি আছে বলে উল্লেখ করে ‘পাত্রী চাই’ লিখে কয়েকবার স্ট্যাটাস দেন। সেখানে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার কাতিরহাট গ্রাম।
সেই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হন খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙার ২৭ বছর বয়সী প্রায় বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণী। পিতৃহারা সেই তরুণী মায়ের সঙ্গে থাকতেন পতেঙ্গা এলাকায়। মেসেঞ্জারে শিবলীর সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ হলে বিয়ের কথা বলে গত ১৩ মে পতেঙ্গার চরপাড়ায় একটি হোটেলে দেখা করে তারা দুজন। সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে পর দিন সকালে মোটরসাইকেলে ফৌজদারহাটে আউটার রিং রোডের মুখে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে নামিয়ে দ্রুতবেগে মোটরসাইকেলে নিয়ে শিবলী পালিয়ে যান।
পতেঙ্গা থানার ওসি কবিরুল ইসলাম বলেন, ১৬ মে ওই তরুণী পতেঙ্গা থানায় ‘আসলাম চৌধুরী’ নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। বুধবার রাতে শিল্পনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীর মোবাইলও উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজিরার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে।
মন্তব্য করুন