একটি টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বিশ্ব যখন একযোগে কাজ করছে, সেই সময় এই উদ্যোগে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের একটি ফোরামে অংশগ্রহণ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। এই ফোরামটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। মর্যাদাপূর্ণ এই ফোরামে প্রফেসর ফারহাতের অংশগ্রহণকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়নবিষয়ক উচ্চস্তরের একটি রাজনৈতিক ফোরামে বক্তব্য দেন। ‘একটি উন্নত বিশ্ব গড়তে উচ্চশিক্ষার ভূমিকা’ শীর্ষক বক্তব্য দেন তিনি। ‘ইনস্টিটিউশনা রিফ্লেকশন’ শীর্ষক পর্বে তিনি গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক প্রভাব তৈরিতে তরুণদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি তার বক্তব্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা কীভাবে নেতৃত্ব, গবেষণা ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রেখে চলেছে সেই বিষয়টি বৈশ্বিক অ্যাকাডেমিক নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন।
এই আলোচনায় প্রফেসর ফারহাতের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও মিলেনিয়াম ফেলো সৃজন বনিক। তিনি তার নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ও কমিউনিটিভিত্তিক কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি এসডিজি বাস্তবায়নে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন।
নিউইয়র্কে একাডেমিক সফরের অংশ হিসেবে প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার দেশটির স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করছেন। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। এসময় শিক্ষার্থী ও একাডেমিয়ার নেতৃত্বে নেওয়া সামাজিক উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে কীভাবে আরও কার্যকর ও টেকসই করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
তিনি কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্টার্ন, কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, স্প্রিংফিল্ড কলেজ, বার্ড কলেজ, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ, ওপেন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন, ফসিল ফাউন্ডেশনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশন নিয়ে আলোচনা করছেন।
জাতিসংঘ একাডেমিক ইমপ্যাক্ট এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেয় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, মিনার্ভা ইউনিভার্সিটি, ডি মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটি এবং লাগোস স্টেট ইউনিভার্সিটির মতো স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে নিজেদের উদ্যোগ, কার্যক্রম ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বৈশ্বিক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
সমাপনী আলোচনায় প্রফেসর ফারহাত ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থা, তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই বিশ্ব গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের দায়িত্ব নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন