কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিতিশীল পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। স্থলপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে এ বন্দর ব্যবহারে দিনদিন যাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে। মূলত বন্দর পার হলেই ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহর। আর শহর থেকে খুব কাছেই বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশন। ফলে সম্ভবাবনাময় আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতগামী যাত্রীদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন বিড়ম্বনার কারণে এ পথ দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেকে নেমেছে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী পারাপার।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজর ১০০ যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে গত ২০ জুলাই থেকে এই সংখ্যাটা অর্ধেকে নেমেছে। এখন আখাউড়া স্থলবন্দরের এ পথে প্রতিদিন ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর বন্দরের কাস্টমস ভবনে সোনালী ব্যাংক বুথের সামনে কথা হয় চট্টগ্রামের বাসিন্দা সোহেল আরমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই তিনি মা ও স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসেছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলার বাসিন্দা সুধাংশু ভট্টাচার্য। তিনি সিলেট মৌলভিবাজার এলাকায় আত্মীয়দের দেখতে এসেছিলেন চলতি মাসের ১০ তারিখে। চলমান পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তিনি সড়ক পথে বেশি ভাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খাইরুল আলম বলেন, গত এক সপ্তাহে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কমেছে। এই চেকপোস্ট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ যাত্রী যাতায়াত করে। বতর্মানে এই সংখ্যাটা অর্ধেকে নেমেছে।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনে খুব দ্রুত সময়ে যাত্রীদের পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যেন যাত্রীরা স্বল্প সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হলে যাত্রী পারাপার বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমরান হোসেন বলেন,বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর আখাউড়া। ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে এ বন্দর ব্যবহারে দিনদিন যাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে এই মূহুর্তে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য যাত্রী পারাপার কিছুটা কমে এসেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করছে আশা করছি যাত্রী পারাপারও বাড়বে।
মন্তব্য করুন