কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বদিকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুরসহ এমপি বদির তিন ভাই, প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান, সিআইপি আব্দুর শুক্কুর এবং আব্দুল আমিনকে আসামি করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগে অজ্ঞাত প্রায় ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশন, আলো শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল নাফ কুইনসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থাপনায় সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে ব্যাপক গুলি ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকানপাট লুট করা হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বদির ছোট ভাই আব্দুর শুক্কুর বলেন, ‘ওই দিন বিকেলে আবদুল্লাহর নেতৃত্বে টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় পৌরসভা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও হামলা হয়। এটা দিবালোকের মতো সত্য। আমার এলাকায় আলিয়াবাদ শাপলা চত্বরের ব্যক্তিগত অফিসেও তারা ভাঙচুর চালায়। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমিও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ট্রাক-মিনিট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দখলে নেওয়ার জন্য আমাকে মারধর ও অফিসে আগুন দেওয়া হয়। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন