লঘুচাপের প্রভাবে ভোলায় গত চার দিন একটানা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী বেশি উত্তাল রয়েছে। ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় সব নদী বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৪১.৯ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গত চার দিন ধরে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জনজীবনে স্বভাবিক কর্ম বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। রাস্তা-ঘাট, খাল-বিলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছে আমন ও সবজি চাষিরা। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মাছধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মৎস্য ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন মাঝি ও শাহীন মালতিয়া কালবেলাকে বলেন, সাগরে মাছধরার ফিশিং বোট ও ছোট ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ট্রলারগুলো উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। ছোট ছোট নৌকা ও ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত রয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। তবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। মেঘনা মোহনায় মাছধরার সকল জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন