দুবাইয়ে এক বছর আগে চুরি হয় ব্রিটিশ ইউটিউবার লর্ড মাইলসের এয়ারপড। আর তা খুঁজতেই পাকিস্তানে ছুটে এলেন তিনি। অ্যাপলের ‘ফাইন্ড মাই’ ফিচারের সাহায্যে খোঁজ পাওয়া সেই ডিভাইস এক বছরের মাথায় পাকিস্তানের ঝেলম শহর থেকে ফিরে পেয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, লর্ড মাইলসের আসল নাম মাইলস রাউটলেজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, ঝেলম পুলিশ প্রধান ও ইন্সপেক্টর জেনারেলের সহযোগিতায় তিনি হারানো এয়ারপডস প্রো উদ্ধার করেন।
ঘটনার শুরু ২০২৩ সালে, যখন মাইলস দুবাইয়ে অবস্থান করছিলেন। ভিসার জন্য অপেক্ষাকালে এক হোটেলে অবস্থান করার সময় তিনি লক্ষ্য করেন, তার এয়ারপড নেই। পরে অ্যাপলের ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা যায়, ডিভাইসটির অবস্থান পাকিস্তানের ঝেলম শহরে, এক রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি।
এরপর পাকিস্তানে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালান তিনি। মাইলস বলেন, ‘এ ডিভাইসটি এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন এক পাকিস্তানি ব্যক্তি। তিনি জানতেন না এটি চুরি হওয়া। সেই ভারতীয়কে চুরি ও চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ইউটিউবার মাইলস পুরো অনুসন্ধান ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করেন এবং তা অনলাইনে প্রকাশ করেন। ভাইরাল হওয়া টুইটের পরপরই ঝেলম পুলিশ একটি বিশেষ দল গঠন করে। তারা সেসব পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে, যাদের সদস্যরা সম্প্রতি দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন। সেই সূত্র ধরেই উদ্ধার করা হয় ডিভাইসটি।
এয়ারপড হাতে পাওয়ার পর লর্ড মাইলস বলেন, ‘ঝেলম পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ তাকে রীতিমতো স্থানীয় পর্যায়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ঝেলমের সেকেন্ড ওয়াইফ রেস্টুরেন্ট-এ।
মাইলস জানান, প্রায় ২০ জন ক্যামেরাম্যান তাকে ঘিরে রেখেছিল। পাকিস্তানের প্রায় সব বড় টিভি চ্যানেল উপস্থিত ছিল সেখানে।
তার এই অভিজ্ঞতা শুধু তার ইউটিউব দর্শকদের মধ্যেই নয়; বরং পাকিস্তানে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরেও কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। একটি চুরি যাওয়া ছোট ডিভাইসকে ঘিরে এভাবে দেশ বদলে অভিযান চালানোর ঘটনাকে অনেকেই বলছেন ‘উদ্ভট কিন্তু দারুণ এক রোমাঞ্চ’।
মন্তব্য করুন