ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইসরায়েলকে মোকাবিলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ভাহিদি।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেনারেল আহমাদ ভাহিদি বলেন, ইসরায়েলের জবাব দিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের জবাব দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শত্রুদের নিষ্ঠুর জবাব দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইরানের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দেফা প্রেস জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন সম্পূর্ণ ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস-কে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতি প্রমাণ করে, চলমান সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলে ‘অভাবনীয় ও অপূরণীয় ধ্বংস’ এনেছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল প্রথম ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায়। এর জবাবে ইরানও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়- নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইসফাহানে সামরিক হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সামরিক বাহিনীও মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়।
দেফা প্রেস বলছে, ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডস কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ III’-এর আওতায় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ২২টি ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে দখলদার অঞ্চলের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মন্তব্য করুন