টানা প্রায় পাঁচ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক ডুবে গিয়ে সাজেকের সঙ্গে সারা দেশের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন আড়াই শতাধিক পর্যটক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে দিকে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছে তারা মূলত আটকে পড়েছে। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে। ভারি বৃষ্টিপাতে কাচালং নদীর পানি বাড়ায় বাঘাইছড়িতেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে উপজেলার সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রাঙামাটি-বান্দরবান আঞ্চলিক সড়কের ৭টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, টানা বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রাঙামাটি-বান্দরবান আঞ্চলিক সড়কের ছোট বড় ৭টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলার সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন