কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল ও সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও দেড়শ থেকে দুইশ জনকে।
সোমবার (২০ আগস্ট) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
কক্সবাজার মডেল থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালা উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয়, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌর যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ ইমরান, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক, কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মনিরসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় অভিযুক্তরা দেশীয় তৈরি বন্দুক, কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জানান, জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি নেতা বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলকে। এর আগেও শুক্রবার আরও একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায়ও সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলসহ ১৫০ জনকে আসামি করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন