ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মা ও শিশু হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব ইনচার্জের ভুল রিপোর্টে পাঁচ মাসের গর্ভজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) উপজেলার দেওয়ানপাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যায় গর্ভের শিশুটি। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মিন্টু মিয়া ল্যাব ইনচার্জ মানিক চৌধুরী ও ডা. সাইদা ইয়াসমিনকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা করেন।
জানা যায়, শিশুর মা আসমা বেগম গত বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে তার শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করলে তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বলে। পরে হাসপাতালের রাস্তায় এক দালাল আসমাকে সরাইল মা ও শিশু হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা শেষে ডা. সাইদা ইয়াসমিন ও ল্যাব ইনচার্জ মানিক চৌধুরী আসমাকে অন্তঃসত্ত্বা নয় বলে জানায়। ল্যাব ইনচার্জ ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট ফাইজুল হক স্বাক্ষরিত রিপোর্টে এমনটি দেখা যায়।
এরপর তিনি ওষুধ কিনে খান এবং পর দিন বিকেলে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ল্যাব ইনচার্জ মানিক চৌধুরী নিজেই হাসপাতালের মালিক। এদিকে এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। হাসপাতালের মালিক পঙ্গু জেনারেল হাসপাতাল ও সরাইল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে যে কাগজপত্র দেখিয়েছে অথচ তার হাসপাতালের ভেতরে প্যাডে ব্যবহার করছে সরাইল মা ও শিশু হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আর এমন প্যাডেই তিনি মালিক হয়ে ল্যাব ইনচার্জের স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন।
ডা. সাইদা ইয়াসমিন বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফিতে প্রেগনেন্সি দেখা যায়নি, তারপরও সন্দেহ হলে প্রস্রাব পরীক্ষা করি, তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।
মানিক চৌধুরী বলেন, পঙ্গু জেনারেল হাসপাতালের মালিক আমি। আমার ভুলবশত মা ও শিশু হসপিটাল নামে প্যাডটি ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে আমার মা ও শিশু হসপিটাল লাইসেন্সটি প্রসেসিংয়ে আছে। দু-পাঁচ দিনের ভেতরে চলে আসবে। এখন আপাতত পঙ্গু নামে চলছে। ভুলবশত মা ও শিশু প্যাডে চলে গেছে এটি আর হবে না।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ নোমান মিয়া বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন