মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে ৯৬ হাজার ৮৩০ বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে

স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রামীণ কৃষিতে আগ্রহ বাড়ছে আদা চাষে। ছবি : কালবেলা
স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রামীণ কৃষিতে আগ্রহ বাড়ছে আদা চাষে। ছবি : কালবেলা

স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রামীণ কৃষিতে আগ্রহ বাড়ছে আদা চাষে। বাড়ির আঙিনা, ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় কিংবা টবে মাটি ভরে ঠাকুরগাঁওয়ে আদা চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য গাছের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা হচ্ছে আদা। মসলা ও ভেষজ ওষুধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় এর দামও বেশ চড়া। তাই পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় প্রান্তিক কৃষকরা আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ৯৬ হাজার ৮৩০ বস্তায় ও ১১৬ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতেই ৪১ হাজার ১৬৭টি বস্তায় আদা চাষ করা হচ্ছে।

আদা চাষি আজিজুর রহমান জানান, প্রতি বস্তায় মাটি সংগ্রহ, সার ও লেবার খরচসহ প্রায় ৫০ টাকা খরচ হয় এবং বিক্রি হয় প্রায় ১৫০ টাকায়। তিনি ১২ হাজার বস্তায় আদা চাষে খরচ করেছেন প্রায় ৬ লাখ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ১৮ লাখ টাকায় আদা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। একদিকে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের।

অন্যদিকে ২৫ হাজার বস্তায় শেয়ারে আদা চাষি বুলবুল জানান, তারা দুই বন্ধু মিলে আদা চাষ করছেন। প্রথমবার আদা চাষে তারা লাভ লোকসানের হিসেব মিলাতে পারছে না। ২৫ হাজার বস্তার মধ্যে আদা ধরেছে ১২-১৫ হাজার বস্তায়।

আদা চাষে পরিচর্যায় কাজ করতে আসা নারী শ্রমিকরা জানান, আদা চাষে পরিচর্যার কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা পায়। এতে তাদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালানোয় সহযোগিতা হচ্ছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মা. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল জানান, মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা আদা চাষি কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজকের বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যে পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

রক্তের শর্করা মাপবেন কখন, ঘুম থেকে উঠেই নাকি প্রাতরাশের পর?

চট্টগ্রাম বন্দরে সভা-সমাবেশে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা

নীরবে শরীরে ছড়াচ্ছে ক্যানসার, সকালে এই একটি লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হোন

এনআইডি পেয়ে সেই জসিম বললেন, ‘অবিস্মরণীয় মুহূর্ত’

শাহরুখ খানকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিলেন পরিচালক

স্বামীসহ ২ ডজন মামলার আসামি শিপরা গ্রেপ্তার

জানা গেল শহিদুল আলমের সবশেষ অবস্থা

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

জুমার দিন যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ মনের চাহিদা পূরণ করেন

১০

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

১১

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

১২

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১৩

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৪

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

১৫

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৬

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১৭

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

১৯

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

২০
X