বন্যার থইথই পানিতে মাছ ধরতে নানান রকম জাল (ফাঁদ) বেচাকেনার ধুম পড়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন হাটবাজারে। বুধবার (২৮ আগস্ট ) বিকেলে উপজেলার সদর বাজার ও ধান্যদৌল বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নানা বয়সী মানুষ ভ্রাম্যমাণ জালের দোকানে ভিড় করছেন। যে যার চাহিদা অনুযায়ী জাল কিনছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বর্ষণ, উজানের ঢল ও গোমতী নদী এবং সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া। দীর্ঘ ২০ বছর পর এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়াবাসী। চারদিকে থইথই পানি। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর, খাল ও নদীনালার মাছ। এসব মাছ ছড়িয়ে গেছে বন্যার পানিতে। বিভিন্ন রকম ফাঁদ পেতে এই মাছ ধরছেন স্থানীয় লোকজন। যার ফলে বাজারে মাছ ধরার জালের (ফাঁদ) চাহিদা বেড়েছে। এসব জালের মধ্যে রয়েছে ঝাঁকি জাল, কনুই জাল, কইয়া জাল, ম্যাজিক জাল, বুচনা জাল, ভেসাল জাল, হাত জাল, কুঁড়োজাল, ব্যাগ জাল, ভাসা জাল, ঠেলাজাল অন্যতম। তবে অঞ্চলভেদে এসব জালের নামের ভিন্নতা রয়েছে।
জাল কিনতে আসা উপজেলার দুলালপুর এলাকার বাসিন্দা বশির আহমেদ বলেন, বন্যার পানিতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের মতো আমিও বাজারে এসেছি। দরদাম করছি, দামে বনে গেলে দুটো ম্যাজিক আর একটি কনুই জাল কিনব।
উপজেলার নাগালই এলাকার বাসিন্দা হিরন মিয়া বলেন, এ বছর বন্যায় সব পুকুরের মাছ বেরিয়ে গেছে, তাই বন্যার পানিতে সব জায়গায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমার ভেসাল জাল পাতা আছে, আরও একটি কিনতে বাজারে এসেছি।
জাল বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, একেকদিন একেক বাজারে গিয়ে মাছ ধরার এসব জাল বিক্রি করে থাকি। এ বছর ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। বন্যায় জালের যে চাহিদা তা আমার ব্যবসায়ী বয়সে আর দেখিনি। বিশেষ করে কনুই জাল, ম্যাজিক জাল ও ভেসাল জালের চাহিদা গ্রাহকদের কাছে বেশি।
জাল বিক্রি করতে আসা শাহ আলম নামের অন্য এক বিক্রেতা বলেন, আমি মূলত মৌসুমি ব্যবসা করে থাকি। জাল সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি। এখন পর্যন্ত ২৯টি জাল বিক্রি করেছি। সব বাজারেই জালের চাহিদা আছে।
মন্তব্য করুন