জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে হলে সর্বপ্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী দলসমূহকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনে থাকতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আহূত সংলাপ বর্জন করে বিএনপি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপির যা কিছু চাওয়া তা কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব। সুতরাং আপনারা নির্বাচন কমিশনের দরজা ঠকঠক করুন।
সোমবার (৩১ জুলাই) জয়পুরহাট-২ নির্বাচনী এলাকায় ১১টি গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ১টি দোয়া মাহফিল ও জন-আকাঙ্ক্ষাবিষয়ক মতবিনিময় সভা এবং আক্কেলপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্বপন এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবারও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলল কানাডার আদালত
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লড়ে জেতে হবে। নির্বাচনের আগে কোনো পক্ষ পরাজয় আশঙ্কায় নির্বাচন ছেড়ে দিলে স্বাভাবিকভাবেই সব জায়গায় শিথিলতা আসবে। তাতে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা যাবে, হয়তো কিছু উপাদানও হাতে পাওয়া যাবে। সুতরাং যারা বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আগ্রহী তাদের উচিত নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া। কারণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিধিমালার আলোকে নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয়ের একমাত্র কর্তৃপক্ষ। জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর নির্বাহী বিভাগের প্রয়োজনীয় কর্মচারীগণ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। নির্বাচন ও নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে, পক্ষপাতিত্ব করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি কর্তৃত্ব আছে ইসির, নির্বাচনকালীন সরকারের নেই। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সংক্রান্ত সব ক্ষমতার অধিকারী।
জাতীয় সংসদের হুইপ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সব আইনি ও নৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দলনিরপেক্ষভাবে গঠিত হয়েছে। কোনো কমিশনারের কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিএনপিও কোনো অথেনটিক অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি। বরং নির্বাচন কমিশন আহূত সংলাপ বর্জন করে বিএনপি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপির যা কিছু চাওয়া তা কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব। সুতরাং আপনারা নির্বাচন কমিশনের দরজা ঠকঠক করুন।
অনুষ্ঠানসমূহে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সভাপতি মোকছেদ আলী, আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন