পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় না গিয়েও নিয়মিত বেতন তোলেন তিন শিক্ষক

মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার সাইনবোর্ড। ছবি : কালবেলা
মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার সাইনবোর্ড। ছবি : কালবেলা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্যরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

সরেজমিন ও অভিযোগপত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার ক্ষতিসাধনসহ সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী সরকার ও শফিকুল ইসলাম মাদ্রাসায় আসছেন না। তবে মাদ্রাসায় না এলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন এই তিন শিক্ষক। মাদ্রাসার শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় গত জুলাই থেকেই এই তিন শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারা কেন আসেন না আমাদের জানা নেই।

অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক জানান, বিগত দিনে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এই তিন শিক্ষক যা ইচ্ছা তাই করছেন। গত জুলাই থেকেই তারা মাদ্রাসায় যান না। আরেক অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক জানান, বিগত সরকারের আমলে তারা মাদ্রাসায় অনেক অনিয়ম করেছেন। আমরা অভিভাবক সদস্যরা কিছু বললেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হয়রানি করেন। মাদ্রাসায় না গিয়েও তারা বাড়িতে বসে বেতন নেবেন এটা হতে পারে না।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার পর বোঝা যাবে ঘটনা কী।

উপাধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী সরকারকে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদ্রাসায় আসেন না। তার সঙ্গে বাকি দুজন শিক্ষকও আসেন না, তারা মাদ্রাসায় না এসে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি শুধু কয়েকদিন থেকে যাই না। অন্য দুজন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি।

ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি অভিযোগ পত্রটি দেখিনি। মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকে বেতন উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএজেএফ’র সভাপতি সাইদ শাহীন সম্পাদক আবু খালিদ

নিলামের দুই কনটেইনার গায়েব, অতঃপর...

খেলা দেখার দিন শেষ, এখন নিজেরা খেলব : ইউনূস

তারার মেলা বসেছিল সেলেনার বিয়েতে

ক্ষমতায় গেলে ৩ বিষয়ে গুরুত্ব দেবে, ইইউ প্রতিনিধিদলকে জামায়াত

২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা 

ইলিশের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

সাদাপাথরে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ

ইউআইইউতে মিডিয়া ফেস্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত

ডার্বিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আরও দুঃসংবাদ পেল রিয়াল

১০

মহাকাশ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর বিখ্যাত যে ১০ স্থান

১১

১৫ দিনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়ম তদন্তের দাবি

১২

ফেটে গেছে তিতাস গ্যাস সঞ্চালনের মূল পাইপ

১৩

জাতিসংঘে পাকিস্তানকে ‘আক্রমণ’ করল ভারত

১৪

স্বাস্থ্যকর্মী লাপাত্তা, বন্ধ দুই কমিউনিটি ক্লিনিক

১৫

খাগড়াছড়িতে অবরোধের মধ্যে মোটরসাইকেল ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ

১৬

‘নেপালকে বর্তমান সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালাব না’

১৭

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসকের নাম চূড়ান্ত, শিগগিরই ঘোষণা

১৮

আসছে নিষেধাজ্ঞা, উপকূলজুড়ে বিষাদের ছায়া

১৯

হাজি সেলিমের বাড়ি থেকে ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ

২০
X