সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় না গিয়েও নিয়মিত বেতন তোলেন তিন শিক্ষক

মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার সাইনবোর্ড। ছবি : কালবেলা
মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার সাইনবোর্ড। ছবি : কালবেলা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্যরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

সরেজমিন ও অভিযোগপত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার ক্ষতিসাধনসহ সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী সরকার ও শফিকুল ইসলাম মাদ্রাসায় আসছেন না। তবে মাদ্রাসায় না এলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন এই তিন শিক্ষক। মাদ্রাসার শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় গত জুলাই থেকেই এই তিন শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারা কেন আসেন না আমাদের জানা নেই।

অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক জানান, বিগত দিনে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এই তিন শিক্ষক যা ইচ্ছা তাই করছেন। গত জুলাই থেকেই তারা মাদ্রাসায় যান না। আরেক অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক জানান, বিগত সরকারের আমলে তারা মাদ্রাসায় অনেক অনিয়ম করেছেন। আমরা অভিভাবক সদস্যরা কিছু বললেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হয়রানি করেন। মাদ্রাসায় না গিয়েও তারা বাড়িতে বসে বেতন নেবেন এটা হতে পারে না।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার পর বোঝা যাবে ঘটনা কী।

উপাধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী সরকারকে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদ্রাসায় আসেন না। তার সঙ্গে বাকি দুজন শিক্ষকও আসেন না, তারা মাদ্রাসায় না এসে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি শুধু কয়েকদিন থেকে যাই না। অন্য দুজন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি।

ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি অভিযোগ পত্রটি দেখিনি। মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকে বেতন উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য : আমিনুল 

উত্তরাঞ্চলে আলুর রেকর্ড, উৎপাদন এখন কৃষকদের গলার কাঁটা

পদত্যাগকারীদের বিষয়ে নাহিদের বক্তব্য

দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

বঞ্চিত হয়েও বিএনপির নামেই মনোনয়ন কিনলেন ৫ নেতা

সাবেক এমপির বিএনপি থেকে পদত্যাগ

ভোটকেন্দ্র মেরামত ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ

৩০০ ফিটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ করল অ্যাব 

সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

ইনকিলাব মঞ্চের সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার মহাসড়কে অচলাবস্থা

১০

সাতক্ষীরার চারটি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

১১

বন্দরের অতিরিক্ত ভারী যানবাহনে বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি চসিকের

১২

প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

১৩

আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

মনোনয়ন জমা দিলেন মীর হেলাল

১৫

নির্বাচন না হওয়ার আর কোনো সংশয় নেই : মো. আসাদুজ্জামান

১৬

সড়কে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

১৭

টিকটকের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি বাফুফের

১৮

দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বাড়ল কত?

১৯

ভারতের নো-হ্যান্ডশেক নীতিতে পাল্টা অবস্থান পাকিস্তানের

২০
X