ভারতে মামার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
স্বর্ণা জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনিগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে স্বর্ণা দাসের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, রোববার মেয়েকে নিয়ে স্বর্ণার মা ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। সোমবার ভারতে স্বর্ণার মামার বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন স্বর্ণা ও তার মা সেখানে যায়নি। পরে তিনি অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে শমসেরনগরে এক দালালের বাড়ি থেকে স্বর্ণার মাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার বিজিবির মাধ্যমে তার মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হন।
স্বর্ণার মা সনজিতা রানী জানান, রোববার গভীর রাতে দালালরা জোরপূর্বক তার মেয়েসহ তাকে ভারতে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিএসএফ গুলি করলে তার মেয়ের গায়ে গুলি লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মেয়েকে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেও আনতে পারেননি।
বিজিবির লালারচক বিওপির কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফ গুলি চালালে, তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
বিজিবির শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদার জানান, খবর পেয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এরপর ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বিজিবি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে স্বর্ণার লাশ হস্তান্তর করে।
কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা স্বর্ণার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
মন্তব্য করুন