বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন রাশেদ

হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন রাশেদ মিয়া। ছবি : কালবেলা
হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন রাশেদ মিয়া। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন মাদ্রাসাছাত্র রাশেদ মিয়া। বুকে দুটি গুলি লাগে তার। অপারেশন করে একটি গুলি বের করা সম্ভব হলেও আরেকটি গুলি রয়ে গেছে ভেতরে। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় দিন পার করছেন তিনি।

জানা গেছে, ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় দারুল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা নাজারাত শাখার শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া গুলিবিদ্ধ হলে প্রথমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তার অপারেশন হলে একটি গুলি বের হলেও অন্যটি বের করা সম্ভব হয়নি। পরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান রাশেদ। পরে আবার নতুন করে ব্যথা শুরু হলে গত ২২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসায় ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে রাশেদ মিয়ার অবস্থান পঞ্চম। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না রাশেদের। তবে তার নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী বায়জিদুর রহমান জানান গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী রাশেদের পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। আমরা তার সু-চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। এ ছাড়া রাশেদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে তাকে সিএমএইচ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার ফুসফুসের অপারেশনটি অত্যন্ত জটিল।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া জানান, সহপাঠীদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। গুলি লাগার পর আর কিছু বলতে পারি না। তবে অপারেশন করে একটি বের হলে আর একটি গুলি বুকের মধ্যে রয়েছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে।

রাশেদের মা মঙ্গলি বেগম ও ভাই মো. খুবাইব বলেন, আমরা খুবই গরিব। টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন। ছাত্ররা এগিয়ে আসায় রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। আমরা চাই আমাদের রাশেদ যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে সরকার যেন সে ব্যবস্থা নেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এ কে এম মুরাদ জানান, তার বুকের ফুসফুসে মধ্যে একটি গুলি এখনো আটকে রয়েছে। আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। নতুবা আটকে থাকা গুলি থেকে ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল

আবু সাইদ জীবন দিয়ে ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে গেছেন: শিমুল বিশ্বাস

কোনো দুর্বৃত্ত-চাঁদাবাজকে আমরা জায়গা দিব না : মুন্না

বিএনপির ৩টি কমিটি বিলুপ্ত

বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল একমাত্র ছেলে

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

পরিকল্পনা করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে : ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ

‘আমার ফয়সাল পাস করছে, এ রেজাল্ট দিয়া আমি কী করমু?’

চিলমারীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৪০

১০

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কারাগার পরিদর্শন

১১

‘হত্যাকারী ও হত্যার নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে’

১২

গর্ত থেকে একে একে বের হলো ২১টি গোখরা সাপ

১৩

ময়মনসিংহে সিলিন্ডারের গুদামে ভয়াবহ আগুন

১৪

রাজশাহীতে ১২ কলেজের সবাই ফেল

১৫

‘পৃথিবীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’

১৬

সৌদি আরবে বাইক রাইডারদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১৭

সিংড়ায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

১৮

আমরা চাই না কোনো ভুলের কারণে দল থেকে ছিটকে যান : নয়ন

১৯

ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ

২০
X