কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় নদীর ডিপোঘাট এলাকায় হঠাৎ ভাঙনে ১শ মিটার ভূমির প্রায় ২০টি ঘরবাড়ি, যমুনা অয়েল কোম্পানির একাংশসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়াও মেঘনা গ্রাস করেছে নদী তীরবর্তী বাজারে প্রবেশের ৫০ মিটার একটি বাইপাস পাকা সড়ক। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকিতে পড়েছে ২টি রেল সেতু, কয়েক হাজার বস্তা সারসহ বিএডিসি গোডাউন, যমুনা, মেঘনা ও পদ্মাসহ ৩টি অয়েল কোম্পানি ডিপো।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদুয়ান আহমেদ রাফি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
গত শনিবার রাত তিনটার দিকে মেঘনা নদীর অববাহিকায় ভৈরবের ডিপোঘাট এলাকায় হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়। এই সময় অনেকেই ঘুমে থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক এক করে ঘরবাড়ি, যমুনা অয়েলের কোম্পানির স্থাপনার প্রতিরোধ দেয়াল, নামাজের ঘর এবং পাইপ লাইনসহ ৫০ মিটার বাইপাস সড়কও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
রোববার ভোরে অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণেই এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকিতে পড়বে ২টি রেল সেতু, কয়েক হাজার বস্তা সারসহ বিএডিসি গোডাউন, যমুনা, মেঘনা ও পদ্মাসহ ৩টি অয়েল কোম্পানি ডিপো। এই অবস্থায় দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদুয়ান আহমেদ রাফি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত ভাঙনরোধে জিও ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
মন্তব্য করুন