হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৮০ জন হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং বাকিরা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মহিবুল হাসান দুলু ও তারই স্বজন একই গ্রামের হামিদুল ও মলাই মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে দুই পক্ষের শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় সালিশকারীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে অনুরোধ করেন।
আজ সোমবার সকালে সালিশকারীরা পুনরায় সালিশের দিন ধার্য করতে উভয়পক্ষের কাছে যান। সালিশে নিষ্পত্তির বিষয়টি উভয়পক্ষ মেনেও নেন। কিন্তু সালিশকারীরা চলে যাবার পরপরই মলাই মিয়ার এক স্বজনের সঙ্গে ইউপি সদস্য দুলু মিয়ার এক স্বজনের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরপর উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে মহিবুল হাসান দুলুর পক্ষে সাবেক শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদারের লোকজন এবং হামিদুল ও মলাই মিয়ার পক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান নলীউর রহমান তালুকদারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
ইউপি সদস্য মহিবুল হাসান দুলু জানান, গ্রাম্য দলাদলির বিষয় নিয়ে এই সংঘর্ষ বাঁধে। শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলীউর রহমান তালুকদার বলেন, দুলু মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মলাই মিয়ার এক স্বজনকে মারধরের ঘটনায় এ সংঘর্ষ বাঁধে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ কালবেলাকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেননি।
মন্তব্য করুন