বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের উপস্থিতিতে মামলার বাদীপক্ষকে মারধরের অভিযোগ 

পুলিশি তদন্তের সময় বাদী পক্ষের এক মহিলার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি : কালবেলা
পুলিশি তদন্তের সময় বাদী পক্ষের এক মহিলার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মামলার তদন্তে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাদী পক্ষের মহিলার গায়ের কাপড় ছেঁড়াসহ আরও দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে। তবে বিবাদী পক্ষের দাবি, উলটো তাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ঘটনার বিবরণ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে জেলে সম্প্রদায়ের নিকট চাঁদা দাবি করাকে ঘিরে ওই এলাকার রামচন্দ্র দাস স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে চিলমারী মডেল থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় যান মামলার তদন্তে।

ঘটনাস্থলে বাদী-বিবাদী সবাই উপস্থিত ছিলেন। এর এক পর্যায়ে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে জানান তেমন ঘটনা ঘটেনি। এ কথা শুনে মামলার আসামি ফুলমিয়া এবং আসামি মাসুদের মা ও বোন বাদী পক্ষের রাম চন্দ্র দাসের স্ত্রী চম্পা রানীসহ আরও দুজনকে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী জেলে রাম চন্দ্র দাস বলেন, ওসি স্যার আসছে মামলা তদন্ত করতে, তদন্ত করে বলছে অভিযোগের তেমন কিছু নাই। একথা বলার পর বিবাদী পক্ষের লোকজন আমার পরিবারের ওপর হামলা করে আমার স্ত্রীর কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিবাদী পক্ষের মিলন মিয়া বলেন, আমাদের লোকজন কোনো মারধর করেনি। বরং রাম চন্দ্রের পরিবার নিজের কাপড় নিজে ছিঁড়ে ফেলেছে। উলটো আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে।

চিলমারী মডেল থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মামলার তদন্তে গিয়েছিলাম, আমাদের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ওখানে এলাকার অনেক গণ্যমান্য লোকজন ছিলেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি, বিনামূল্যে মাছ নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে একই এলাকার কিছু যুবক। বর্তমানে জেলে সম্প্রদায়ের রাম চন্দ্র দাসের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী রাম চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- ওই এলাকার মিলন মিয়া (৪০), নয়ন মিয়া (৩৭), মাসুদ মিয়া (৩০) ও সুমন মিয়া (৩৫)। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজন রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোনো দুর্বৃত্ত-চাঁদাবাজকে আমরা জায়গা দিব না : মুন্না

বিএনপির ৩টি কমিটি বিলুপ্ত

বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল একমাত্র ছেলে

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

পরিকল্পনা করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে : ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ

‘আমার ফয়সাল পাস করছে, এ রেজাল্ট দিয়া আমি কী করমু?’

চিলমারীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৪০

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কারাগার পরিদর্শন

‘হত্যাকারী ও হত্যার নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে’

১০

গর্ত থেকে একে একে বের হলো ২১টি গোখরা সাপ

১১

ময়মনসিংহে সিলিন্ডারের গুদামে ভয়াবহ আগুন

১২

রাজশাহীতে ১২ কলেজের সবাই ফেল

১৩

‘পৃথিবীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’

১৪

সৌদি আরবে বাইক রাইডারদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১৫

সিংড়ায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

১৬

আমরা চাই না কোনো ভুলের কারণে দল থেকে ছিটকে যান : নয়ন

১৭

ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ

১৮

নাটোরের ৪ কলেজে পাস করেনি কেউ

১৯

ঝিকরগাছায় আ.লীগ নেতাসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা

২০
X