মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাটি পদ্মা শাখা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মৃতরা সবাই নারী ও শিশু বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান।
মৃত সাতজন হলেন এপি (২৮), পপি (৩০), মাকসুদা (৪০), সাকিবুল (১০), সাজিবুল (৫), হুমায়রা (৫ মাস) ও ফারিয়ান (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিকনিকের একটি ট্রলারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে রসকাটি থেকে পদ্মা নদীতে যাওয়ার পথে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ওই ট্রলারটির ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় ৩০ জনের মতো লোক সাঁতার কেটে তীরে আসতে পারলেও বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়।
লৌহজং উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফয়েজ আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ইতোমধ্যে ৬টি মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ২টি মরদেহ নদীর পাড়ে রয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকেও তুলে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন