জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। দেশ হায়েনার কবলে পড়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার বিগত ১৫ বছর ধরে যারা নতুন ভোটার হয়েছে, তরুণ ভোটার যারা ভোট দিতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীকাল বুধবারের ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ভোট মানুষের অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার। ভোটারেরাই একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন দল থাকবে, কোন ব্যক্তি পরিচালনা করবে সেই রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে একজন ভোটারের। তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি।
সমাবেশের বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ কালবেলাকে জানিয়েছেন, বুধবার চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীসহ তরুণরা সমাবেশে যোগ দিবেন। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। এ সমাবেশ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ ব্যানারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এই সরকার দেশের সব অর্জন খেয়ে ফেলেছে। এখন রিজার্ভ গিলে ফেলেছে। আর কয়েকদিন ক্ষমতায় থাকলে পুরো দেশটাকে খেয়ে ফেলবে। দেশের অস্তিত্ব আর রাখবে না। তাই এখনই সময় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এসব খেকো সরকারকে সরাতে হবে। এ জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুবকদের রাজপথে নামাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারুণ্যের সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে ভোট ও ভাতের অধিকারের সংগ্রাম।
টুকু বলেন, সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলে দেশের মানুষকে বলেছিল। কিন্তু দলীয় লোকদের চাকরি দিতে গিয়ে দেশের মেধাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং অধিকাংশ ভিন্ন মানুষের চাকরিচ্যুত করেছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে আওয়ামী সরকার। কিছু দিন আগে আপনাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া দেখেছেন। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা কথা বলার কারণে হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও গুমের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। লুটপাট আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে হাহাকার। জনগণ আর এই অপশাসনের ভার বইতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রামের তারুণ্যের সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেই সমাবেশে তরুণরা মহাসমুদ্রের সম্মিলন ঘটাবে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। সেখান থেকেই দেশের ভাগ্য নির্ধারণের বার্তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্যাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলা ও মহানগর প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন