টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরামে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে পরশুরামে মুহুরী নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর (স্বাভাবিক বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : টানা বর্ষণে রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ বসতঘর
দুপুরে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে মুহুরী নদীর ফুলগাজি উপজেলায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ফুলগাজি উপজেলার সদরের বরইয়া ও দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে মুহুরী নদীর পাড়ের এবং উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নদী কূলবর্তী কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে পরশুরামের একাধিক স্থানে নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রতনপুর নামক স্থানে সোমবার সকালে ভাঙনের ঝুঁকি দেখা দিলে গ্রামবাসী বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। একই ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অজিত দেবনাথ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভাঙন দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও জানান, পরশুরামবাসীর দুঃখ কখনো শেষ হবে না। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে নদীতীর কূলবর্তী এলাকার মানুষকে আতঙ্কে দিন কাটতে হয়। প্রতি বছর বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মন্তব্য করুন