চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না অ্যাডভোকেট সাইফুল

পরিবারের সঙ্গে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
পরিবারের সঙ্গে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

‘আমার ছোট ভাই আলিফের তিন বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান আছে। সে অকালে হারাল তার বাবাকে। অনাগত সন্তানও তার বাবার মুখ দেখবে না আবার ভাইয়েরও তার দ্বিতীয় সন্তানকে দেখার সৌভাগ্য হলো না। এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? আমার নিরপরাধ ভাইকে কেন মেরে ফেলা হলো? আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’

এভাবেই কেঁদে কেঁদে গণমাধ্যমকে কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের বড় বোন জান্নাত আরা বেগম।

নিহত আলিফের (৩৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায়। সম্প্রতি আলিফ চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হয়েছিলেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সাইফুল চতুর্থ।

সাইফুলের মেয়ের নাম তাসকিয়া। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান তারিন এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সাজানো-গোছানো সংসারে দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন আলিফ-তারিন দম্পতি। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন ভেঙে গেল তাদের।

বিলাপ করতে করতে গণমাধ্যমকে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। যারা আমার ছেলেকে এমনভাবে মেরেছে, আমি আল্লাহর কাছে তাদের বিচার দিলাম। আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান নামে এক আইনজীবী বলেন, পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী আলিফকে বিক্ষোভকারীরা কোপানো শুরু করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নেওয়ার সময় তার মুক্তির দাবি জানায় ইসকন সমর্থকরা।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া লালদিঘিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ছাড়াও আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। তবে এ ১৯ জনের সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মন্নান।

তিনি বলেন, আহতদের কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছেন, কেউ হাতে, কেউ শরীরের অন্যান্য জায়গায়। তাদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলবে না : অ্যাডভোকেট সালাম

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভগ্নীপতি লতিফকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

মহিলা দল নেত্রীকে মারধর, বিএনপি নেতা বহিষ্কার 

সাংবাদিক হলে এনসিপির প্রচারণায় কী করতেন, জানালেন প্রেস সচিব

এনসিপির গাড়িবহরে হামলা

ভিন্ন ছকে মাঠে নামছে পিটিআই, নির্দেশনা ইমরান খানের

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা, একাধিক চমক

ভাঙনের মুখে চালিতাবুনিয়া, টেকসই বাঁধসহ তিন দাবি

চবিতে আন্দোলনের মুখে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামির পদোন্নতি বোর্ড প্রত্যাহার

১০

থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

১১

পাগলা মসজিদে এখন থেকে অনলাইনে করা যাবে দান

১২

খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

১৩

মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা সম্মেলন- ২০২৫

১৪

খেলার জন্য পুঁজিবাজারের মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত : বিএসইসি কমিশনার 

১৫

ইতালিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ২৭

১৬

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত

১৭

ছাত্রদল নেতার ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ দেখে ফেলায় দুই নারীর ওপর হামলা

১৮

‘শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো ছিল’

১৯

জঙ্গি কার্যক্রমে নিয়োজিতরা শ্রম খাতে যুক্ত : মালয়েশিয়ার আইজিপি

২০
X