ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘন কুয়াশায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ

কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডোমারে জনজীবন নাকাল। ছবি : কালবেলা
কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডোমারে জনজীবন নাকাল। ছবি : কালবেলা

ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাস, হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডোমারে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। দিনের বেলায়ও ডোমার মহাসড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। এ ছাড়া চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, হিমালয় কাছে হওয়ায় উত্তরের জেলা নীলফামারীতে আগাম দেখা মিলে শীত ও কুয়াশার। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

আরও জানা যায়, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশু। ফসলের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশিরবিন্দু। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।

ডোমার পৌর এলাকার রিকশা চালক মজিবুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত ও ঠান্ডার কারণে কামাই-রোজগার কমে গেছে। মানুষজন ঠান্ডার কারণে রিকশায় উঠতেছে না। ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ভ্যানচালক জিকরুল হক বলেন, ঠান্ডার কারণে অনেক যাত্রী ভ্যানে উঠতে চায় না। এতে আমার আয় কমে গেছে।

চিলাহাটি এলাকার জুয়েল বসুনিয়া বলেন, ডোমার উপজেলা হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে আগে থেকে ঠান্ডা শুরু হয়। পাশাপাশি কয়েকদিন থেকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস বইছে, অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী কালবেলাকে বলেন, বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সারা দেশের ২০ অঞ্চলের জন্য সতর্কবার্তা

শহিদুল আলমকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া

১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ উপদেষ্টার

‘বিভিন্ন দেশের ভিসা জটিল হয়ে গেছে, আমাদের ঘর গোছাতে হবে’

প্রজ্ঞাপন জারি, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা

‘নবী শব্দের অর্থ সংবাদবাহক তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সাংবাদিক ছিলেন’

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ 

নদীভাঙনে বদলে যাচ্ছে জামালপুরের মানচিত্র!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা

সাবের হোসেনের বাসায় ৩ রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া

১০

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / দেশে ফিরলেন দুবাইয়ে জাহাজে আটক সেই সিফাত

১১

হালুয়াঘাটে এমরান সালেহ প্রিন্সের আয়োজনে ‘দুর্গাপুজা পুনর্মিলনী’

১২

আইসিসি থেকে সুখবর পেলেন বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার

১৩

রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন

১৪

নাহিদকে পরিষ্কার করতে হবে, উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা ‘সেফ এক্সিট’ চায় : রিজওয়ানা

১৫

পদ্মায় ইলিশ ধরায় ৯ জে‌লে গ্রেপ্তার

১৬

বিয়ের আগে যে ৭ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, জানালেন আহমাদুল্লাহ

১৭

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার মাইটিভির চেয়ারম্যান সাথী, জামিন মেলেনি

১৮

ট্রেন উদ্ধার শেষে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন রেল প্রকৌশলী

১৯

সীমান্ত থেকে ২৭৯ ভারতীয় গরু ও মহিষ আটক 

২০
X