বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বান্দরবানে সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রকল্প গ্রহণ

বান্দরবানে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানি ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
বান্দরবানে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানি ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

বান্দরবানের সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে সুপেয় পানি ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল হাসান বলেন, বান্দরবানে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর প্রকল্পে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভায় জমি অধিগ্রহণসহ পানি সমস্যা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভা এলাকায় নতুন পানির লাইন স্থাপন করা হবে। সে সঙ্গে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওয়াটার ট্রান্সমিশন লাইন, সমন্বিত বর্জ্য শোধনাগার ও নতুন পাবলিক টয়লেট তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করে সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল হাসান, প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল আমিন, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাবুদ্দিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রুই প্রু অং মারমাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা জানান, পাহাড়ি এলাকায় খাবার পানির সংকট দীর্ঘদিনের। এ ছাড়া উন্নত স্যানিটেশনের অভাবে এ এলাকার মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছে। এ সব বিষয় মাথায় রেখে এডিবির অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবান পৌরসভায় ৩৫০ কোটি, লামা পৌরসভায় ২৭৫ কোটি ও রাঙামাটি পৌরসভায় ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা পাবেন বলে জানান তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার সম্মেলন ২৬ ও ২৭ আগস্ট

দুধ দিয়ে কফি খাচ্ছেন, এই অভ্যাস ভালো নাকি ক্ষতিকর জানাল গবেষণা

পর্যটক বাড়াতে বিনামূল্যে বিমানের টিকিট দেবে থাইল্যান্ড

দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া

সারা দেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭২৭

দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন আমির

দীর্ঘ বিরতির পর ২৩ আগস্ট আসছে কোক স্টুডিওর ৪র্থ গান

হবু স্বামীর সঙ্গে কথা বলা কি জায়েজ?

পরীক্ষা শুরুর আগে হলেই কলেজছাত্রীর মৃত্যু

সীমান্তে ১১ বাংলাদেশিকে আটকের পরে ফেরত দিল বিএসএফ

১০

বিস্ফোরণ মামলায় ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি

১১

রাঙামাটিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুদকের অভিযান

১২

আর্জেন্টিনায় ম্যাচ চলাকালে সমর্থকদের তুমুল মারামারি

১৩

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

১৪

৬০০ কোটি আয় ছাড়াল রজনীকান্তের ‘কুলি’

১৫

শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে সাইদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি

১৬

গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৭

জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে নির্দেশনা দিলেন হাইকোর্ট

১৮

ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের ছবি যুক্তের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

১৯

ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়াল পাকিস্তান

২০
X